পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ । s নিদর্শন সকল প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। বারাঙ্গনাদিগের দুল্কিফ্লার এবং ब्रस्त्र সন্তানদিগের গোপনে । প্ৰসূত হওয়ার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এখন আপনার প্রশ্ন করিতে পারেন যে যে ঋগ্বেদেশপ্ৰাচীন সমাজের এত কথা উক্ত হইয়াছে তাহাতে জাতিভেদ প্রথার উৎপত্তির কোন উল্লেখ পাওয়া যায় কি না ? ইহার উত্তর এই, একটী স্থল ব্যতীত ঋগ্বেদের কুত্ৰাপি ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য শূদ্র প্রভৃতি জাতির বিবরণ প্ৰাপ্ত ३७टश शाश की । যে সুক্তের মধ্যে জাতিভেদের উৎপত্তির কিঞ্চিৎ বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহার নাম পুরুষ সুক্ত। এই সুক্তটিতে এইরূপ বৰ্ণিত হইয়াছে যে দেবগণ এক আশ্চৰ্য্য প্ৰকৃতিসম্পন্ন পুরুষকে যজ্ঞে বলি দিলেন। সেই পুরুষের দেহ হইতে সৃষ্টির তাবৎ পদার্থ উৎপন্ন হইল। নানা প্ৰকার পদার্থের সৃষ্টি বর্ণনা করিয়া অবশেষে বলিতেছেন :- “তস্মাৎ যজ্ঞাৎ সৰ্ব্বহুতঃ ঋচঃ সামানি জভিজ্ঞরে । ছন্দাংসি জভিজ্ঞরে তস্মাৎ যজুস্তস্মাদজায়ত। তস্মাদশ্বা অজায়ম্ভ যে কে চোভিয়াদতঃ। গাবোহ জভিজ্ঞরে ভস্মাৎ তস্মাজাত। অজাবয় ॥* * * * “ব্ৰাহ্মণোস্য মুখমাসীৎ বাহু রাজন্যঃ কৃত: ) উরূ তদস্য যদ্বৈশ্যঃ পদ্ভ্যাং শূদ্রো অজায়তা।” অর্থ,-সেই সৰ্বহুত যজ্ঞ হইতে ঋক সকল ও সাম সকল জন্ম গ্ৰহণ করিল। তাহা হইতে ছন্দ অর্থাৎ বেদ সকল ও যজুৰ্বেদ উৎপন্ন হইল। তাহা হইতে অশ্ব সকল ও দুই