বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যৌবনের সাধনা
২১

বিদ্যাভূষণের গ্রন্থাবলী পুনঃ পুনঃ পাঠ করা উচিত। উহা স্বদেশপ্রেম ও জাতীয় ভাবের মহান্ উৎসস্বরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না।

 বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক স্বনামধন্য কেশবচন্দ্র সেনের নামও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করিতে হইবে। কেশবচন্দ্র কেবল ধর্ম প্রবর্তক ও সমাজসংস্কারক ছিলেন না। জাতীয় আন্দোলনের মূলেও তাঁহার দান প্রচুর। সংবাদপত্র প্রচার, বক্তৃতা প্রভৃতির মধ্য দিয়া স্বদেশপ্রেম ও স্বজাতিপ্রীতিও তিনি দেশবাসীর মনে জাগ্রত করিয়াছিলেন। তখনকার দিনের বহু ইংরেজী-শিক্ষিত নব্যযুবক তাঁহারই মন্ত্রশিষ্য ছিলেন এবং উত্তরকালে রাজনৈতিক আন্দোলনে অগ্রণী হইয়াছিলেন। তন্মধ্যে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রভৃতির নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে।

 এস্থলে উল্লেখযোগ্য যে, বাঙলায় একটা নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন রাজা রামমোহন রায়ের সময় হইতেই চলিয়া আসিতেছিল। বৃটিশ-প্রভুদের নিকট আবেদন-নিবেদন, তাঁহাদের প্রসাদ ভিক্ষাই ছিল এই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল মন্ত্র। রাজা রামমোহনের পরে তাঁহার রাজনৈতিক শিষ্যেরা এই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখিয়াছিলেন। ‘ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন’ এই উদ্দেশ্য লইয়াই স্থাপিত হইয়াছিল। এই যুগে রামগোপাল ঘোষ, ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্র, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণদাস পাল, কিশোরীচাঁদ মিত্র,