পাতা:জাতীয় সাহিত্য.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशकवि भाझेट्रकुल भभूरुपन फ्रड “সাহিত্য-কুসমে প্ৰমত্ত মধ্যপ বঙ্গের উক্তজবল রবি, তোমার অভাবে 【际*[@円夺R শ্ৰীমধ্যসািদন কবি৷ ”* বন্ধবের যোগীন্দ্ৰনাথ কবিভূষণ ও সমবেত সভ্যবাদ, যে মহাকবির মতিবাসরে আজ আমরা সমবেত হইয়াছি, তিনি, শােধ বঙ্গের নহেন, সমগ্ৰ ভারতবষের বরণীয় ও প্রেমিক কবিশ্রেষ্ঠগণের অন্যতম ছিলেন । তাঁহার ন্যায় মহাকবির আবিভাবে বঙ্গদেশ চিরদিনের মত পজিনীয় হইয়া রহিয়াছে। আর তাঁহার কবিতার পিণী মন্দার-মালায় বঙ্গভাষা আচন্দ্ৰদিবাকর সশোভিত হইয়া থাকিবে । কৃত্তিবাস, কাশীদাস, রামপ্রসাদ, ভারতচন্দ্র” প্রভৃতি মহাকবিগণের বহযত্নকলিপিত কবিতা-কাননে মধ্যময় মধ্যসাদনের মধ্যমতী ভাব-মন্দাকিনী প্রবাহিত হইয়া বঙ্গদেশকে যেন চিরদিনের মত সরস করিয়া রাখিয়াছে । বাঙ্গালার মাটি, বাঙ্গালার জলের এমনই একটা মাহাত্ম্য, বাঙ্গালার শ্যামল শস্যক্ষেত্রের, সনীল বনাবলীর এমনই একটা মাধরী, এমনই একটা উন্মাদকতা যে, অতিবড় নীরস পাষাণেও এখানে নিঝর দেখিতে পাওয়া যায় । ইচ্ছায় হউক, অনিচ্ছায় হউক, আমরা সত্যই “পাখীর ডাকে ঘামিয়ে উঠি পাখীর ডাকে জেগে ।”* তীৰ্থস্থানে উপনীত হইলে যেমন হৃদয়ে কেমন একটা অপহণীয় ভাবের উদয় হয়, অরণোদয়ে নীলাশবরাশির বেলাভূমিতে উপবিটের মনে যেমন একটা অনিৰবাচনীয় ভাবের আবেশ হয়, সায়ংকালে পল্লীপ্রান্তরে সমাসীন ব্যক্তির পশ্চাদবত্তী দোয়েল-শ্যামার তানে নয়ন ও মনে যেমন একটা আনন্দময়ী জড়তার আবিভােব হয়, এই বাঙ্গালার পল্লীকুঞ্জে যাহারা গান করেন, তাঁহাদের হৃদয়ে স্বতঃই ঐরােপ ভাবাবেশ জন্মিয়া থাকে। যাঁহারা আবার ভাগ্যবান, বিধাতার অনগ্রহ যাঁহাদের মস্তকে বাষিত, তাঁহারা ঐ ভাবাবেশে আত্মোৎসগা করিয়া ধন্য হন, মরজীবন সাথক করেন । দিব্যাবসানে, যখন পল্লীপদ বাহিনী তটিনী কুলকুল গীতিকায় পথিকের প্রাণে কেমন একটা উদাস ভাব জােগাইয়া বহিয়া যায়, তাঁটবত্তী বটবক্ষের মলে সমাসীন পথিকের হৃদয় সান্ধ্য সমীরণ যেন