তাহাদিগকে বুঝিতে দাও, শিখিতে দাও, দেখিতে দাও এবং দেখিয়া তুলনা করিয়া ভালমন্দ বাছিয়া লইতে দাও; দেখিবে, তাহারা এ দেশের অপরাজিতা বা শেফালিকা ফেলিয়া অন্য দেশের ভায়লেট্ মাথায় করিবে না। নিজেদের কি আছে, কি ছিল, ইহা যাহারা না জানে তাহারাই পরের দ্বারে উপস্থিত হয়। তোমার স্বদেশবাসীদিগকে তোমার প্রাচীন সম্পদের পরিচয় দাও, বিশ্লেষণ করিয়া বুঝাইয়া দাও,— তাহাদের মনে আত্মসম্মান উদ্বুদ্ধ করিয়া তোল। তবেই ত তোমার জাতীয়তা গঠিত হইবে। সর্ব্বাগ্রে জাতীয় সাহিত্য গঠন কর, তবে ত জাতির গঠন হইবে —নতুবা সমস্তই আকাশ-কুসুম।
মনে কর, বিলাতের ব্যবস্থাপক-সভা (বা পার্লিয়ামেণ্ট); তোমার দেশের পক্ষে বর্ত্তমান সময়ে ঐরূপ সভার উপযোগিতা কতদূর, তাহা বিশেষ বিবেচ্য। কিন্তু বিলাতের লোক-তন্ত্র যেরূপ ভাবে গঠিত, তাহার পক্ষে ঐ সভার উপযোগিতা প্রচুর। সে দেশের পক্ষে যাহা আবশ্যক, তাহাই যে এ দেশের পক্ষেও আবশ্যক, ইহা বলা বড়ই দুষ্কর। দেশভেদে, দেশবাসিভেদে, দেশের আভ্যন্তরীণ অবস্থাভেদে এবং দেশের শিক্ষাদীক্ষার ভেদে, দেশের পরিচালন-সভাসমিতিরও ভেদ অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং তোমার দেশের পক্ষে তোমার প্রাচীন পদ্ধতিই অনুকূল, না বিদেশীয় পদ্ধতি অনুকূল,