আমরা এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারি যাহাতে বিদ্যার্থীরা, প্রথমতঃ ইংরাজী ও দেশীয় ভাষায় কৃতিত্বলাভের পর, ভারতীয় কতিপয় ভাষা শিক্ষা করিবার সুযোগ পাইবে; বি. এ., এম. এ. উপাধিমণ্ডিত বাঙ্গালী যুবক দেশাত্মবোধে অনুপ্রাণিত হইয়া, বাঙ্গালা ভাষার সঙ্গে আরও দুই-একটা ভারতীয় ভাষা—হিন্দি বা মারাঠী, উর্দ্দু বা তৈলঙ্গী ভাষা শিক্ষা করিবে, তাহা হইলে শিক্ষা-সমাপ্তির পর, সেই সকল যুবক পরকীয় ভাষার অর্থাৎ ঐ হিন্দি বা মারাঠী ভাষার সম্পদ-সৌষ্ঠব ক্রমে বঙ্গভাষায় অনুক্রমিত করিয়া বঙ্গভাষার সম্পদ্ বর্দ্ধিত করিতে পারিবে। যে কবিতায় বা যে লেখার উন্মাদনায় মহারাষ্ট্র উন্মত্ত, যে কবিতায় বা যে লেখার উম্মাদনায় হিন্দুস্থান আপনার ভাবে আজও আপনি নৃত্য করে, তাহারা সেই উন্মাদনা বঙ্গভাষার শিরায় শিরায় বহাইতে পারিবে। বঙ্গের ধোয়ী, উমাপতি, জয়দেব, শরণ, গোবর্দ্ধন[১] আর বাঙ্গালা ভাষাতেই “অন্তরীণ” থাকিবেন না, ভারতের বিভিন্ন দেশের ভাষাতেও তাঁহাদের মধুর বংশীরব শ্রুত হইবে।
শুধু এক প্রদেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রীতির প্রবর্ত্তন করিলে চলিবে না। ক্রমে ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই এই ভাবে দেশীয় ভাষা-শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে। বোম্বাই-মান্দ্রাজ, পাঞ্জাব-এলাহাবাদ প্রভৃতি স্থানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দেশীয় ভাষায়