ভাষায় পরীক্ষা দিতে হইবে; অর্থাৎ যিনি প্রধানতঃ বাঙ্গালা ভাষা লইবেন তাঁহাকে সেই সঙ্গে হিন্দি বা মারাঠী বা তেলেগু বা গুজরাটি লইতে হইবে,—এইরূপ যিনি মারাঠী ভাষা লইবেন তাঁহাকে সেই সঙ্গে আর একটি ভাষা লইতে হইবে।—যদি যথার্থ অধ্যবসায়শীল উদ্যমসম্পন্ন কর্ম্মঠ যুবক পাওয়া যায়—অন্ততঃ বৎসরে একটিও মিলে—তবে দশ বৎসর পরে বাঙ্গালায় এমন দশ জন শিক্ষিত ব্যক্তিও পাইব, যাঁহারা অবাধে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ভাষায় যে সমস্ত অমূল্য রত্ন আছে, তাহা আনিয়া প্রতিভার সাহায্যে বঙ্গভাষা খচিত করিতে পারিবেন, বাঙ্গালার সম্পদ্ অনেক বাড়িয়া যাইবে। এইরূপে যদি ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও দেশীয় ভাষায় এম. এ. পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়, তবে বাঙ্গালার সম্বন্ধে যাহা যাহা বলিলাম, তাহা সেই সেই দেশের পক্ষেও খাটিবে। ফলে, সমগ্রভারতবর্ষে একটা ভাব-গত একতার সাড়া পড়িবে। পরস্পরের আদান-প্রদানের সুবিধা হইবে। অদূর ভবিষ্যতে, যাহারা ইংরাজী জানে না, ইংরাজী শিক্ষার সুবিধা পায় নাই, কিন্তু দেশীয় ভাষা জানে, তাহারাও ভিন্ন দেশের মনোহর ভাব-সম্পদ্ উপভোগ করিতে পারিবে। জনসাধারণের মধ্যে একটা ঐক্য-বন্ধনের সূত্রপাত হইবে। তখন আর দ্রাবিড়বাসীকে ইংরাজীর সাহায্যে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির মাধুর্য্য উপলব্ধি করিতে হইবে না। নিজের
পাতা:জাতীয় সাহিত্য - আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (১৯৩৬).pdf/৩৮
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
জাতীয় সাহিত্য