পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

醬*f*a惰 সচরাচর যাত্রীদের বিশেষ দামী জিনিষ ও বন্দুক ইত্যাদি রাখা হয়। এবারে সে ঘরটি খালি আছে। তাই সেখানে আমাদের এবং আরও কয়েক জন যাত্রীর বাক্সৱাখতে পারা গেল। রাত্রে বেশ ডিনার দিলে। দুটী, টেবিল শুধু এসিয়া-বাসীদিগের জন্য পৃথক রাখা ছিল। আমরা তিনপ্পন ও একজন জাপানি ভদ্রলোক তারি মধ্যে একটী পেলাম । জাপািন লোকটী ভাল ইংরেজী বলেন না, তবুও আমার স্বামী তাঁর সঙ্গে আলাপ সুরু ফরিলেন। ইংরেজদের উপর তঁর বিশেষ ভক্তি বুঝা গেল না। তিনি কথায় বার্তায় বললেন, ইংরেজেরা অত্যন্ত দেমাকে। কলকাতার কোনো সওদাগরি আফিসে ভদ্রলোকটী চাকরী করেন। তাই দু’চারটি বাংলা কথা শিখেছেন। তঁর কলকাতা খুব ভাল লাগে এবং বাঙ্গালী মেয়েকে বিবাহ করতে তাঁর সখ আছে, ইহাও জানা গেল । কেবিনে বড় গরম ; সেজন্য আমাদের ঘরের বয়কে’ ডেকের উপর; বিছানা আনতে বলে দেওয়া হলো এবং রাতটা আমরা তিন জনই ডেকে গুলাম। সমস্ত রাত জাহাজ চলতে থাকলো । ऽ४हे धार्थिक्ष ১৮ই এপ্রিল সকালে বিছানা ছেড়েই দেখি, গঙ্গায় জল কম বলে জাহাজ দাড়িয়ে রয়েছে। দুপুরে দু’চার ঘণ্টা চলেছিল। কিন্তু বেশী দূর যাওয়া গেল না। এই দু’দিনে কাহারে সঙ্গে আমাদের বিশেষ পরিচয় হয় নি। আমার ছেলের ঠাণ্ড লেগে অল্প সর্দি জর হ’ল। তাই জাহাজের ডাক্তারের খোজ নিতে বাধ্য হলাম। সেই সুত্রে , ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ হলো । তিনি বোম্বেবাসী, নাম ডাক্তার , কোঠারে। এত সুন্দর বাংলা বলেন যে, , আমি তঁকে প্ৰথমে বাঙ্গালীই ভেবেছিলাম । ইনি পরে সমস্ত রাস্তা আমাদের সাহায্য করেছিলেন। কলকাতার কলেজে