পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনগরী tr সকলের মধ্যেই এটা দেখা যায়। জাপানে আর একটা ব্যাপার বড় খারাপ লাগে, সেটা হচ্ছে সেখানকার দুৰ্গন্ধ ; মনে হয়। ওদের নাক ছোট বলে ওদের ভ্ৰাণ-শক্তিটা কিছু কম, তাই ওরা দুৰ্গন্ধ অনুভব করে না। রাস্তার ধারে নর্দমাগুলো অত্যন্ত অপরিস্কার এবং তাতে অত্যন্ত দুৰ্গন্ধ পাওয়া যায়। তা ছাড়া আবার যেখানে সেখানে পাযপাম । সে সব জায়গার কাছে তো যাওয়াই যায় না, দূর থেকে ও ভয়ানক দুৰ্গন্ধ পাওয়া যায়। নারা ষ্টেসনে নেবে ষ্টেসন থেকে বেরুলেই একটা চা খাবার ঘর। আছে ; কিন্তু তার কাছে খাবার নো নেই, কারণ তার পাশেই একটা পায়খানা আছে। আমাদের কোটগুলো ষ্টেসানে জিনিধি রাখবার ঘরে রেখে এবং তার নিদর্শন স্বরূপ একটা টিকেট নিয়ে আমরা বাইরে এসে চারখানা রিকশ ভাড়া করে নিলাম। সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে চারটা পৰ্য্যন্ত রিকশর সঙ্গে ভাড়ার বন্দোবস্ত হলো। এই ছয় ঘণ্টার মধ্যে তারা সমস্ত নারাটা আমাদের দেখিয়ে আনবে ; প্রতি রিকশতে ২ ইয়েন লাগবে। ষ্টেসন ছেড়ে আমরা নারার বাজারের মধ্যে দিয়ে চল্লাম । জাপানের সব বাজারই একই ধরণের বলে মনে হয়। খাবারের দোকানের অন্ত নাই । দোকান ছাড়িয়ে একটা বড় পুকুর ও বাগানের কাছে আসা গেল। সেখানে অনেক হরিণ। হরিণগুলো কিন্তু একেবারে পোষ্যমান । বড় বড় শিংওয়ালা হরিণ আছে, তারাও একেবারে পোষা জন্তু। লোকে তাদের গায়ে হাত দিয়ে আদর করছে, খেতে দিচ্ছে। ঐ খানেই তাদের খাওয়াবার জন্য এক রকম গোল গোল কালো গুড়ের মত চাকতি বিক্রি করছে। সেগুলি অল্প দামে পাওয়া যায়। তাই কিনে লোকে হরিণদের আদর কুরে খাওয়ায়। আমার স্বামী আমাদের ছেলেকে হরিণদের খাওয়াবার জন্য ঐ চাকতি কয়েকটা কিনে দিলেন । তারপর আমরা একটী মন্দির দেখতে গেলাম। মন্দিরটা পাহাড়ের উপরে। সিড়ি দিয়ে