পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ*igिन् वक्रन्दो 參8@ এখানে কয়েকটি মন্দির দেখলাম। কিন্তু আগেই বলেছি। এখানে একটা মন্দির ঠিক অন্যটারই মত। আমরা সঙ্গে লাঞ্চ এনেছিলাম। কারণ এখানে জাপানি হোটেলে খাওয়া আমাদের চলবে না । সঙ্গে যে জাপানি ভদ্রলোকটী এসেছিলেন তঁর খাবারের সুবিধার জন্যে আমরাও একটী জাপানি রেষ্টৱাতে গেলাম । নিচের তলায় একটা টেবিল ও কয়েকখানি চেয়ার ছিল । মনে করেছিলাম ঐখানে বসেই লাঞ্চ খাব ; কিন্তু সেখানে এত লোকের ভিড় যে বসার সুবিধা হ’ল না। এখানেও জাপানি মেয়ে পুরুষ ছেলে-পিলে নিয়ে বেড়াতে ও মন্দির দেখতে এসেছে। এদের তীর্থ-স্থানে বা সৌন্দৰ্য্য-স্থানে লোক-সমাগম দেখলে মনে হয়, জাপানিদের কাজ কৰ্ম্ম নাই, সব সময়ই বুঝি। এরা নিৰ্ম্মল বায়ু ও সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করে বেড়ায়! রেষ্টর থেকে একটা উঁচু পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়। সেই পাহাড়ের উপর এই দুপুরের রোদে ছেলেপিলে সঙ্গে নিয়ে জাপানি মেঘে পুরুষেরা উঠিছে। নিৰ্ম্মল বায়ু ও প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করার ইচ্ছা এদের স্বভাবগত । আমাদের দেশে প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বা নিৰ্ম্মল বায়ুর অভাব নাই ; অভাব আছে কেবল প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য ও নিৰ্ম্মল বায়ু উপভোগ করবায় শিক্ষার ও ইচ্ছার। আমাদের দেশে অনেক সুন্দর দৃশ্য ও অনেক সুন্দর মন্দির আছে, সে সব দেখতে ও তাদের মৰ্য্যাদা বুঝতে বাইরের লোক আসে, ভারতবাসী ক’জন যায় জানি না। কিন্তু জাপানবাসী নিজেদের তীর্থ-স্থান ও সৌন্দৰ্য্য-স্থান দেখতে ও উপভোগ করতে এক জন দুজন যায় না, দলে দলে যায়। এ সব জায়গায় সত্যই জাপানি ছাড়া অন্য দেশের লোক খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বিদেশীদের আধিপত্যটা যে কত বেশী তা এদেশে এলে ভাল করে অনুভব করা যায়। এখানে আমরা কত জায়গায় ঘুরলাম, কত মন্দির দেখলাম ; কিন্তু সব জায়গায় মিলে দুএকটা ছাড়া বেশী