পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܵ জাপানে বদনী । দলে মিশে কোন একটা খেলায় যোগ দিতাম। স্নাৰে মেয়ে-পুরুষদের ডেকে শোবার ব্যবস্থা আলাদা ছিল না, যে যেখানে পারত শুতো । দুটী একটী এমেরিকান দম্পতির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, তঁরাও এই অদ্ভুত ব্যবহার দেখে হাসি ঠাট্টা করতেন। ২২এ এপ্রিল চারিদিন আমরা সমুদ্র-বক্ষে চলেছি। সমুদ্রের দৃশ্যটা অতি চমৎকার! ছোট ছোট নীল ঢেউ কেটে জাহাজ চলেছে, আর চারিদিকে শুধু নীল জল । জাহাজে কিন্তু মাছির অত্যন্ত উপদ্রব। আবার রাত্রে গরমের উপদ্রব ভোগ করতে হচ্ছে। আজ থেকে জাহাজের গতির উপর বাজি রাখা আরম্ভ হলো । একজন মাতব্বর হয়ে যাত্রী সকলের কাছে টাকা আদায় করেন। এবং জাহাজ সে দিন কত মাইল পথ যাবে আন্দাজ করতে বলেন। তারপর যার আন্দাজের কাছাকাছি জাহাজ ২৪ ঘণ্টায় চলে, সে পুরষ্কার পায়। তিনটী পুরষ্কার দেওয়া হবে। আমরা ২২ টাকায় দুখানি টিকিট কিিনলাম এবং ভাগ্যক্রমে আমিই দ্বিতীয় পুরষ্কার ৫২ টাকা পেয়ে গেলাম। সুতরাং তিনটী টাকা আজ লাভ হলো । ২৩এ এপ্রিল আজ সকালে দূরে আণ্ডামান দ্বীপ দেখা গেল। ক'দিন খালি জল দেখার পর ডাঙ্গার দৃশ্যটী বড় চমৎকার লাগলো। তারপর আরও অনেকগুলি পাহাড় দেখা দিল, সেগুলি মালয় উপদ্বীপের সংলগ্ন কয়েকটী দ্বীপ। সিঙ্গাপুরে পৌছিতে আমাদের আর বেশী দেরী নাই-সেজন্তে ক'দিন দেশের জন্য অনেক চিঠি লিখলাম। সিঙ্গাপুরে সেগুলি ডাকে দিতে হবে। • জাহাজে ব্যায়াম কক্সবার বেশী সুবিধা পাওয়া যায় না ; প্রায় সকলেই