পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী আছে এবং কি রকম হওয়া উচিত সে বিষয় ১ স্বামী বল্লেন যে তিনি শুনেছিলেন জাপানীরা চক্ষে দেখেন, কিন্তু মারকুইসের কথার ভাবে আমাদের ঠিক নয়। মারকুইস ওকুমা বল্লেন, \, ওদের সভ্যতা অনেক বিষয়ে ঋণী। তিনি অনেকবার ; আশা করেন যে, নূতন রিফর্মের ফলে ভারতবর্ষের অনেক `ܪ তঁহার মতে ভারতবর্ষের শিক্ষা ছাড়া আর উপায় নাই ; s ভারতবর্ষ শীঘ্রই উন্নতি লাভ করবে। এটা তিনি খুব বিশ্বাস ক, { সব ছাড়া রাজনৈতিক বিষয়ে অনেক আলোচনা হলো। আই, তিনি স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে দুচার কথা বল্লেন । আমি বল্লাম, জাপ, শিক্ষায় আমাদের দেশ থেকে অনেক এগিয়েছে এবং জাপানের s মেয়েদের স্কুলগুলি দেখে আমি খুব সন্তুষ্ট হয়েছি। তিনি বল্লেন, মেয়েদের ኔታ শিক্ষা ওরা যা দিচ্ছেন তাতে ওঁরা সন্তুষ্ট নন। স্ত্রীশিক্ষার এখনও 'অনেক উন্নতির দরকার এবং তঁদের আরও উন্নতি করবার ইচ্ছা আছে। উনি আরও বল্লেন যে, পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে জাপানি মেয়েরা মোটেই শিক্ষিত ছিল না।--ভারতবর্ষে এখন যে শিক্ষার ব্যবস্থা আছে তখন তাও ছিল । না,-সে জন্য তিনি মনে করেন যে ভারতবর্ষের উন্নতির খুব আশা আছে। লোকটী যে খুব উঁচু দরের তা তার চেহারাতেই বোঝা যায়। বেশ উন্নত প্ৰশস্ত কপাল, চেহারায় একটা মহিমা আছে। একে দেখবার আগে জাপানে যে এমন উন্নত দৃঢ় চেহারার মানুষ আছে তা কখনও ভাবি নাই। এখানে সচরাচর যে সব লোক দেখা যায়। তারা মোটেই দেখতে ভাল নয়, বরঞ্চ দেখলে খুব বোকা গোছের মনে হয়। ” কিন্তু এ লোকটিকে দেখলে বােঝা যায় জাপানের যাঁরা বড় লোক তীর কি রকমের। এই বৃদ্ধকে দেখলে সত্যই ভক্তি হয়। যদিও তিনি