পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যাসোিনজ সমস্যা »१३ यून আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার হলো। উনি জাপান গভর্ণমেন্টের কৃষি অফিসে গিয়ে কৃষিকার্যের বিষয় দেখার একটা প্রোগ্রাম ঠিক করে এলেন। কৃষিবিভাগের সেক্রেটারীর নাম মিঃ ইসিগুরো। রবিবারে তঁাকে একটা গ্ৰাম দেখাতে নিয়ে যাবেন ঠিক হলো। প্যাসেজের কোন খবর পাওয়া যায়নি। টোকিওতে বসে সে খবর পাবার যো নাই কারণ জাহাজ কোম্পানির অফিস কোবে ও ইয়োকোচামা ছাড়া আর কোথায়ও নাই। এ দুটা জায়গা হলো এদের বন্দর। এখানেই সব বিদেশী দোকান ইত্যাদি আছে। তাই ? কোবে ও ইয়োকোহামাতে গেলে অনেক বিদেশীর মুখ দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু কিয়োটাে ও টােকিওতে জাপানি ছাড়া অন্য জাতি খুব কম দেখা যায়। সেখানে সবই জাপানি, চারদিকেই জাপানি মুখ, জাপানি দোকান ইত্যাদি। সে জন্য প্যাসেজই হােক, নিজেদের কাপড় চোপড়ই হোক, সবের জন্য হয় কোবে বা ইয়োকোহামাতে যেতে হয়। আমাদের এই দুই জিনিসেরই দরকার ছিল সে জন্য আমার স্বামী কৃষি অফিস থেকে ফিরে আসতেই আমাদের ইয়োকোহামা যাবার কথা স্থির হলো ! ১২টায় লাঞ্চ খেয়েই আমরা বেরুলাম। খেতে যাবার আগে দেখা গিয়েছিল যে ওঁর ছাতা পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ ওঁর মনে হলো যে উনি সকালে যে রিকৃশ করে এসেছিলেন, তাতেই ভুলে ফেলে রেখেছেন, নাম্বার সময় সেটা নামান হয়নি। তাই ঠিক হলো যে, যে ষ্টাণ্ড থেকে উনি রিকশ ভুড়া নিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে খোঁজ