পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eV জাপানে বঙ্গনারী করতে হবে । ইয়োকোহাম যেতে ষ্টেসনে যাবার রাস্তায় সেই ষ্টাণ্ডটা পাওয়া যাবে। দুচার পা যেতে না যেতে সেই সকালের রিকশাওয়ালা সেই হারাণ ছাতাটা নিয়ে এসে হাজির হলো । আশ্চৰ্য্য হয়ে গেলাম, এদের দেশে চুরি যে খুব কদাচিৎ হয় তা এই রিকশাওয়ালার ব্যবহারে বোঝা গেল। এমন সৎ গাড়িওয়ালা আমাদের দেশে খুব দুর্লভ। গাড়ির মধ্যে ছাতা ফেলে এলে অনেক ক্ষেত্রেই তা তার আর পাত্তাই পাওয়া যায় না, আর গেলেও আমাদের দেশে অমান কৰ্ত্তব্যপরায়ণ লোক খুব কমই আছে যে নিজে কষ্ট করে এসে ছাতাটা পৌছে দিয়ে যায়। তার সৎস্বভাবের জন্য রিকশাওয়ালাকে উপযুক্ত বকশিস দিয়ে উনি বিদায় দিলেন। আমরা ইলেকট্রিক ট্রেণের ষ্টেসনে এসে পৌছতে আমার স্বামী সেখানে Tourist Guide ( বিদেশীয়দের পথ নিদর্শন করবার জন্য এরা আছেন। ) এর সাহায্য নিলেন । গাইড "আমাদের টিকিট কেনার সাহায্য করলেন। টিকিট-কেরাণা ছিল একজন জাপানী স্ত্রীলোক । জাপানে আজকাল অনেক জায়গায় মহিলারা কেরাণীর কাজ করছে দেখা গেল । আশ্চৰ্য্য এই যে এই মহিলা কেরাণীটি যদিও ইংরাজি ভাষা জানে না, তবু কেমন নিপুণতার সহিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোথাকার টিকিট চাই বলে দিতেই কেরাণী মেয়েটা টিকিটগুলি আমাদের জন্ত দিলেন। আমাদের দেশের টিকিট-কেরাণীবাবুরা টিকিট দিলেই তঁদের কাজ সমাপ্ত হল ভাবেন, কিন্তু এখানকার ব্যবহার অন্য রকম দেখলাম । কোন দিকে ইয়োকেহামার ইলেকট্রিক ট্ৰেণ পাওয়া যায় তা আমরা ঠিক জানতাম না। তাই এই কেরাণী-মহিলাটী নিজের টিকিটের ঘর থেকে বাইরে সিড়ি পৰ্য্যন্ত এসে তা দেখিয়ে দিয়ে গেলেন। রেলের টিকিট-কেরাণী যে এ রকম ভদ্র হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস হুতো না। আমাদের দেশের রোল-কৰ্ম্মচারীরা বিদেশী যাত্রীদের এমন