পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী re করে হাই স্কুলের ক্লাশ পৰ্যন্ত সব ক্লাশই আছে। তার পরে আবার ইউনিভাসিটি ক্লাশও আছে। অন্য মেয়ে-স্কুলের মত এখানে সয বিষয়েই শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। এটা কিন্তু গবৰ্ণমেণ্টের বিশ্ববিদ্যালয় নয়, লোকে চাঁদা তুলে এর প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা ইউনিভারসিটির অনেকগুলি ক্লাশ দেখলাম। তা’র পরে আমাদের একটা বড় ঘরে নিয়ে বসানো ‘হল ; সেখানে আমরা চা ও মেয়েদের তৈয়ারি কেক খেলাম। এখানে প্ৰায় এক হাজার মেয়ে পড়ে । তাদের থাকবার ঘর গুলাও দেখলাম। বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর। মেয়েরা নিজেরাই খাওয়া দাওয়ার দেখাশুনা করে, চাকর বাকিরদের কাজ ও তারা করে। এতে শিক্ষণ কম হয়না । আমরা সব দেখে শুনে যখন মোটরে উঠতে যাচ্ছি এমন সময়ে দেখা গেল, কতকগুলি মেয়ে নাচের মত ড়িল করছে। দু’জন করে। সারি দিয়ে সুন্দর ভঙ্গিতে পা ফেলচে। এদেশের লোক যেমন মেয়েদের শিক্ষার উপরে নজর দেয়, তেমনি তাদের শারীরিক উন্নতির দিকে ও নজর রাখে। এদের মেয়েদের স্কুলের জীবনটা বড়ই আনন্দের। আমাদের দেশে এরকমটি কবে হবে, দেখলে কেবল তাই মনে হয় ।

  • বিকেলে অল্প বৃষ্টি হচ্ছিল। মিঃ মজুমদার এলেন। আমরা চায়ের পরে কাছেই একটা Boys' Technical School (qtr15Cst first বিদ্যালয় ) দেখতে গেলাম। যেখানকার বুড়ো ডিরেক্টর খুব ভালো লোক ; খুব যত্ন করে তিনি আমাদের স্কুল দেখালেন। আমরা সেখানকার পাঠ্য কয়েক খান বই নিয়ে এলাম। এখানে এক দল ছেলে দিনে অন্য কাজ করে রাত্ৰিতেও হাতের কাজ শিখে। আমার স্বামী দু’জন ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন তারা কি কাজ করে। একজন বল্পে দিনে খবরের কাগজ বিক্রি করে, রাত্ৰিতে ইলেকটিক ইনজিনিয়ারিং শিখচে {