পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গনারী YR অতিশয় আশ্চৰ্যজনক। যেখানেই পয়সা ফেলে দাও ঠিক পয়সাগুলোর সঙ্গে ডুব দিয়ে এরা পয়সাটা তুলে আমাবেই। জাহাজ আস্তে আস্তে বন্দরে পৌঁছিল। পৌঁছতেই একজন ইংরেজ অফিসার জাহাজে এসে আমাদের সকলের পাসপাের্ট পরীক্ষা করলেন। । তিনি পুরুষদের retty VCs (smoking room) বসলেন। \ ठांभद्धां अकाल সেখানে পাসপোর্ট নিয়ে হাজির হলাম-তিনি थोडाकी পাসপোর্ট দেখে তার উপর এক একটা ষ্ট্যাম্প করে দিলেন । আমরা একে একে ষ্ট্যাম্পমারা পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলাম। বন্দরে জাহাজ দাঁড়াতেই অত্যন্ত গরম লাগছিল, দে জন্যে আমরা স্থির করলাম, মধ্যাঙ্ক ভোজনের পর সিঙ্গাপুর সহরটা দেখতে যাবে। আমাদের সহযাত্রীদের অনেকেই মধ্যাহ্ন স্টোজনের আগেই নেবে সিঙ্গাপুর দেখতে গেলেন। তঁরা সেখানেই হোটেলে টিফিন খেলেন। জাহাজে টিফিনের সময় অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। আমরা তিনটার সময় ডাঙ্গায় গেলাম। সিঁড়িটা এমন খারাপ করে রেখেছিল যে, অতি সাবধানে নামতে হলো। প্রথমে কতকগুলো জাহাজের মালের গুদাম-ঘর পার হয়ে রাস্তায় এলুম। সেখানে কতকগুলো রিক্স, ঘোড়ারগাড়ি ও মোটর ছিল। রিক্সগুলি এক একটী চীনালোক টেনে নিয়ে যায়। ঘোড়ার গাড়ীগুলো দেখতে আমাদের দেশের পালকী গাড়ীরই মত। তবে শুধু একঘোড়াতে টানে—এগুলি কতকটা আমাদের দেশের শামপুনি ও zिरूान्जिन মাঝামাঝি রকমের। দেখতে বেশ ভালই মনে হলো। দুপুর রোদে রিক্সাতে ষোতে ইচ্ছা হ’ল না। আবার মোটরের ভাড়া ঘণ্টায় চার টাকা, তাই বাধ্য হয়ে ঘোড়ার গাড়ীই নিলাম। জামাদের সঙ্গে দেশী টাকা ছিল। এদেশে “ড়লার’ ও ‘সেন্ট ব্যবহার হয়, সে জন্যে প্রথমেই আমরা কিছু টাকা বদলাতে ব্যাঙ্কে গেলাম।