পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è do জাপানে বঙ্গনারী প্রায় চারটার সময় আবার রিকশাতে নেমে ট্রাম করে হােটেলে tሳኞîîጫ፲ ! ১লা জুলাই আজ ব্ৰেকৃফষ্টি খেয়ে এবং আমাদের সেই গাইডকে সঙ্গে নিয়ে বাকি মন্দির ও সমাধি গুলা দেখতে গেলাম। প্রথমে পরশু যে প্যাগোডা দেখা গিয়েছিল তারই ছবি তোলা হ’ল। তার পরে আমরা মিউজিয়ম দেখতে গেলাম। সেখানে অনেক পুরানো জাপানি জিনিষ আছে। শোগুনদের পোষাক, তাদের খাবার বাসন, কাপড় রাখবার বাক্স ইত্যাদি অনেক জিনিষ দেখা গেল। দেখলাম। সেখানে মোম দিয়ে তৈয়ারি জাপানি পুরুষ ও মেয়েদের মূৰ্ত্তি আছে। মিউজিয়ম থেকে আমরা দুইটি মন্দির ও সমাধি দেখতে গেলাম। সে দিন শোগুনদের যেমন সমাধি ইত্যাদি দেখেছিলাম, এ গুলিও ঠিক সেই রকমেরই। দুই তিন শত ধাপ সিড়ি ভেঙ্গে উঠলে পাহাড়ের উপরে এই সমাধি গুলি দেখা যায়। অনেক জাপনি মেয়ে ও পুরুষ ছোটো ছেলে মেয়েদের পিঠে ঝুলিয়ে এখানে পূজা দিতে এসেছে দেখলাম। আমাদের দেশের মেয়েদের মতো জাপানি মেয়েরা ধৰ্ম্ম-প্রবণ। তবে আমাদের দেশের মেয়েরা যেমন অনাহারে এবং উপবাসে শরীর পাত করেন। এরা তা করে না । জাতিভেদ না থাকায় প্রত্যেক টি-হাউসে যাত্রীরা প্রয়োজন মত খাবার খেয়ে নেয় । এতে যাত্রীদের কষ্ট হয় না। শুনলাম, এখানকারই একটা ছোটো পাহাড়ে নদীর ধারে একখানা পাথরে সংস্কৃততে অনেক কথা খোদা আছে । আমার স্বামী সেটা দেখবার জন্তে ইচ্ছা প্ৰকাশ করলেন । আমরা খুবই ক্লান্ত ছিলাম তথাপি সেটা দেখতে যাওয়া ঠিক হোল। হোটেল থেকে সে জায়গাটা প্ৰায় কুড়ি মিনিটের রাস্তা। বার হওয়া গেল এবং নদীর জলের স্রোতে চাকা ঘুরিয়ে গৃহস্থের সংসারেয় যে