পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्त्रांश्रांन शश्नांदी 3ኛSኳ” সব কাজ করে নেয়। তাও কঁকতালে দেখা হয়ে গেল। দেখলাম একটি গৃহস্থের বাড়ির এক পাশে একটা কাঠের প্রকাণ্ড চাকা আছে । তারি উপরে ঝরণা বা পাহাড়ে নদীর জল পড়ে চাকাটাকে অনবরত ঘুরাচ্ছে। চাকার সঙ্গে ধান ভানার কাঠের কল জোড়া আছে। তাই (যেমন চাকা ঘুরছে, অমনি কলটাও আপনা-অপনি ঘূরে ধান ভেনে ད་ན་ তৈয়ার করছে। আমরা সেই গৃহস্থটির ঘরের ভিতরে গিয়ে ধান-ভানা, দেখলাম, -লোক নেষ্ট, কলটা আপনিই কাজ করে চলেছে। আমাদের দেশের পাহাড়ে জায়গায় এরকম ছোটো নদী ও ঝরণার অভাব নেই। - লোকে এরকম চাকা ঘুরিয়ে কাজ আদায় করে নেয় না কেন জানি না। এই সব দেখে আমরা কাঠের পুলের উপর দিয়ে নদীর ওপারে গেলাম। খানিক দূরে যেতেই দেখা গেল, অনেকগুলা বুদ্ধের মূৰ্ত্তি সারি সারি নদীর ধারে বলান আছে। এ গুলির সংখ্যা বোধ করি গুণেই শেষ করা যায় না। আগে নাকি আরো মূৰ্ত্তি ছিল, সেগুলি এখন নদীর গর্ভে ভেঙ্গে পড়েছে। নদীর ধারে যে পাথরটায় সংস্কৃত , ভাষায় লেখা আছে, সেটা দেখা গেল। আমার স্বামী লেখাটা পড়লেন। গাইড আমাদের বল্লে, লোকে এখানে এসে কোনো কামনা করে একটা পাথর বুদ্ধের কোলের দিকে ফেলে। যদি পাথরখানা ঠিক কোলে গিয়ে পড়ে, তবে কামনা সিদ্ধ হয়। সব দেখে শুনে আমরা বারটার পরে হোটেলে পৌঁছলাম। তার পরে লাঞ্চের পরে ষ্টেশনে এসে সাড়ে পাঁচটায় আবার টোকিয়োতে পৌছিলাম। হোটেলে গিয়ে দেখা গেল, আমরা যে ঘরে থাকতাম। সেই ঘরগুলাই আমাদের জন্য আছে। বাঁচা গেল। २ब्रां झूलाईআজ সকালে আমার স্বামী মিঃ ভৌমিকের সঙ্গে কৃষি-বিদ্যালয় দেখতে গেলেন । আমি চিঠিপত্র লেখার কাজগুলো সেরে নিলাম।