পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ret জাপানে বঙ্গনারী কাটিয়ে পরদিন সকালেই চলে যাব, তাই এ ভাড়াতেই ঘরটা নিলাম। শুনলাম, এই হোটেলে একশো লোকের থাকবার ব্যবস্থা আছে। খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে হোটেলের সব দেখলাম। शृंद बझ् फुत्रिं९ क्रश ७ লাইব্রেরি আছে। লাইব্রেরি। আজ আর দেখা হল না। নাচ-ঘরে উকি মেরে দেখি, কয়েক জন ইংরেজ মেয়ে ও পুরুষ নাচছে ; তা ছাড়া তাদের মধ্যে একজন জাপানি মেয়েও নাচছে। শুনলাম। এই মেয়েটি হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারীর কন্যা। খুব সুন্দরী বলে এর সমস্ত জাপানে সুনাম আছে। কিন্তু তেমন সুন্দরী বলে বোধ হ’ল না, হয় তা এককালে সুন্দরী ছিল। ৫ই জুলাই আজ সকালে লাইবেরি দেখলাম। সেখানে বিক্রির জন্য অনেক জিনিষ রেখেছে-যেমন কাঠের বাক্স, কিমোনো, ব্যাগ ইত্যাদি। কেমন করে জিনিষপত্র বিক্রি করতে হয় তা জাপানির বিলক্ষণ জানে। আমরা কিছু জিনিষ কিনিলাম। তার পরে সাতার দেবার জায়গা (Swimming bath ) ও হোটেলের বাগানটা দেখলাম। বাগানটা অতি সুন্দর। এগারোটার সময় আমরা মোটরবাস করে হাকোনি হ্রদ ও ফুজি পাহাড দেখবার জন্যে বার হলাম। বাসটা খুব ছোটো ছিল, দেড় ঘণ্টায় হাকোনি পৌঁছান গেল। কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাক’, ফুজি পাহাড় দেখা গেল না। আমাদের দেশে হিমালয় পাহাড় যেমন প্ৰসিদ্ধ এবং তার সঙ্গে যেমন অনেক প্রবাদ ও কিম্বদন্তী জড়ানো আছে, জাপানের ফুজি পাহাড়ও ঠিক তাই। জাপানির এই পাহাড়কে দেশের গৌরব বলে মনে করে। কোনো নতুন জায়গায় গেলেই আগে থাকবার জায়গা ঠিক করা দরকার হয়। আমরা হাকোনিতে একটা হোটেলে উঠলাম। এটা ছোটো এবং সম্পূর্ণ জাপানি ধরণের। আসবাবপত্র ও ঘর-দোর কিছুই ভাল নয়।