পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানের বঙ্গনারী Soby চার পাঁচ বৎসর জাপানেই আছেন ; বাড়ী পাঞ্জাবে। খুব তেজী লোক । আমরা তঁকে ডিনারে নিমন্ত্রণ করলাম। আমরা হোটেলে ফিরবার অল্প পরেই তিনি এলেন । দেখলাম। তিনি বেশ জাপানি বলতে পারেন। ডিনার শেষ হয়ে গেলে তিনি টোকিয়ো চলে গেলেন । ১১ই জুলাই আজ সকালে মিঃ ও মিসেস পুরুষোত্তম দাস আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। আগেই বলেছি আমার স্বামী যখন বিলেত যান, তখন বোম্বেতে তিনি পুরুষোত্তম দাসদের বাড়িতে কয়েক দিন ছিলেন। পুরুষোত্তমের ঠাকুরমা ও দিদিমা ওঁকে খুব যত্ন করে ছিলেন । বিপিনচন্দ্ৰ পাল মহাশয় এদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন ' মিঃ পুরুষোত্তমদাস দু'বৎসরের শিশু । এরা বেশ লোক, মিসেস পুরুষোত্তমদাস বেশ শান্ত-শিষ্ট মেয়ে। বেচারির এখানে বড় একলা লাগে। পার্শিদের সঙ্গে তঁদের সে রকম মিশ খায় না। দেশের অন্য ভদ্র মহিলাও এখানে বড় দেখা যায় না। আমরা পুরুষোত্তমদের কাল লাঞ্চে নিমন্ত্রণ করলাম। কিন্তু ওঁরা মাংস খায় খান না বলে চা-খাবার জন্য আসবেন ঠিক্‌ হ’ল। কথা হল চা খাবার পরে মোটরে করে তঁরা আমাদের ইয়োকোহাম সহরটা দেখিয়ে আনবেন। আজ মিঃ হাস্যরাজানির বাড়িতে লাঞ্চের নিমন্ত্রণ, কাজেই সেখান যেতে হল। এখানে কুবেরজি নামে একটি ভারতীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হল। ইনি ব্যবসা করেন এবং এদিকে আবার চিত্রকর। তা" ছাড়া হাত দেখে মানুষের ভবিষ্যৎ বলবার ক্ষমতাও তীর আছে দেখলাম! মিঃ হাস্যরাজানি আমাদেয় বেশ খাওয়ালেন। প্ৰথমে পোলাও, তার সঙ্গে চার পাঁচ রকম নিয়ামিষ তরকারি এবং হাতে গড়া রুটি । এরা সিন্ধুদেশের লোক ; মাংস খান না। অনেককাল পরে দেশী খাবার খেয়ে খুব হুপ্তি