পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফিব্ৰতি পথে s७ 6* खूलांझे আজ আমাদের যাত্রার দিন। আটটায় ব্রেকফাষ্ট श्रीक्षा (6ॉल । ঘণ্টা খানেক, পরে আমরা মােটরে করে জাহাজের Wharfএ গেলাম। গিয়েই দেখি মিঃ হাস্ৱাজানি প্রভৃতি অনেকগুলি ভারতীয় ভদ্রলোক আমাদের বিদায় দিতে এসেছেন। দেখতে দেখতে টোকিয়ো ও ইয়োকোহামার পরিচিত আরও অনেক ভারতবাসীরা আমাদের বিদায় দেবার জন্য এলেন। মিঃ মজুমদার ত সঙ্গেই ছিলেন। পুরুষোত্তম দাস একট। টুকরিতে করে অনেক সুন্দর ফুল আমাদের উপহার দিলেন। যাতে বাইরের লোক সব নেমে যায়, তার জন্যে এগারোটার সময়ে ঘণ্টা বাজল । ধারা আমাদের বিদায় দিতে এসেছিলেন তঁরা সকলেই অভিবাদন করে নেবে গেলেন। তারপর জাহাজ ছাড়তেই তীর থেকে সকলে “বেনুজাই” বলে চিৎকার করতে লাগলেন। “বেনজাই” কথাটা ইংরেজী “Hurrah” (হুররে )। র প্রতিশব্দ। কতকগুলি জাপানি ভদ্রলোক লাল ও গোলাপি কাগজের ফিতা এনেছিলেন। তঁরা সেই ফিতা জাহাজের রেলে বেঁধে তীরে নেমে সেগুলাকে হাতে করে দাড়িয়ে রইলেন। অর্থাৎ কিনা। কাগজের সিকল দিয়ে আটকে জাহাজের গতি রোধ করব। কিন্তু জাহাজ ছাড়লে ফিতা গুলা পট পট ছিড়ে গেল। ওরা টুপি খুলে সমুদ্রের ধারে দাড়িয়ে রইল, যতক্ষণ দেখা গেল আমরাও ততক্ষণ রুমাল নাড়তে লাগলাম। জাহাজের নাম ‘ইয়ো মারু” । জাহাজটা খালি ছিল তাই ভয়ানক দুলতে লাগল। দেখলাম যাত্রীদের মধ্যে অনেক জাপানি আছেন। কমাণ্ডার কোেগা নামে নৌবিভাগের একজন বড় কৰ্ম্মচারী, মিঃ ও মিসেস সায়তো এবং भिः।'