পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 আমার ছেলের এটা খুব পছন্দ হয়েছিল। সে দুটাে খড়ের নল হাতে করে নিয়ে এলো। রিক্স বা ঘোড়ার গাড়ীতে সিঙ্গাপুর জায়গাটা ভাল করে দেখবার সুবিধা হ’ল না। তাই বিকেলে চারিটার সময় জাহাজের ডাঙ্গারকে নিয়ে আমরা মােটর করে একবার সিঙ্গাপুরটা দেখে নেব স্থির কদলাম। রাস্তায় গিয়ে কিন্তু মােটর দেখতে পাওয়া গেল না, তাই অগত্যা দুখানা বড় রিক্সা ভাড়া করা গেল, রাস্তায় মোটর পেলেই নেওয়া যাবে স্থির করে বেরুলুম। কিন্তু রাস্তায় মনোমত মোটর পাওয়া গেল না। শেষে একটা মোটরখানা থেকে বেশী দাম দিয়ে মোটর নেওয়া গেল। রিক্সা কুলিগুলো চীনে। তাদের উনি ৫০ সেণ্ট করে দিলেন, কিন্তু কেবল ২৫ সেণ্ট তাদের প্রাপ্য ছিল। তবু তারা ভয়ানক রূগায়াগি কম্বুলে। কোন প্রকারে তাদের এড়িয়ে মোটরে ত চড়া গেল। গভর্ণরের মারি হাতার ভিতর দিয়ে বােটানিকেল বাগানে যাবার স্নাস্তা। দূর থেকে গভর্ণরের বাড়ি দেখা গেল। বোটানিকেল বাগানটা আমরা প্ৰথম দিন ভাল করে দেখিনি। সত্যই মোটরে ঘুরে না দেখলে তার সৌন্দৰ্য্য উপলদ্ধি করা যায় না। অনেকগুলি বোটানিকেল বাগান দেশে দেখেছি, কিন্তু এটা সত্যই একটী সৌন্দর্ঘ্যের আধার। পাহাড় জল গাছ ও সবুজ ঘাস দিয়ে যেন ছবি একে রেখেছে। মনে হয় যেন, কোন পরীর বাগুন। মার্চ কোম বোটানিকেল বাগানে এত সুন্দর রাস্তা দেখিনি, রাস্তাগুলি স্কন্দয় ভাবে একে বেঁকে গেছে। বোটানিকেল বাগান থেকে আমরা একটা রবার গাছের বাগানের কাছে গেলুম। এদেশে রবারের খুব চাষ আছে। রবারের গাছগুলো খুব বড়। গাছের গুড়ির মত এক এক জায়গা চিরে তার ঠিক নীচে একটী ছোট টনের পাত্র বেঁধে দেয়। সেই ; পায়ে চেরা জায়গা থেকে দুধের মত সাদামাঠা পড়ে। সেটা শিল্পী পরেই নামে থিয়ে স্নবারের মত পদার্থ হয়। । রবারের বাগানটির ফন্টী":