পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R জাপানে বঙ্গনায়ী মৃতদেহ জাহাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পাছে যাত্রীদের মনে কোন রকম ভয় হয় এজন্তে হংকং ছােড়বার পর ডাক্তার আমাদের কাছে এ খবর জানিয়েছিলেন। লোকটার মাথা গোলমাল ছিল বলে সে আত্মহত্যা করবার জন্যে জলে ঝাপ দিয়েছিল। ডাক্তার আমাদের নীচের “ডেকে” চীনে যাত্রীদের দেখবার জন্তে নিয়ে গেলেন। ওদের দেখবার জন্য আমার স্বামীর আঁত্যন্ত কৌতুহল হয়েছিল। এখানে প্রায় দুই হাজার চীনে মেয়ে পুরুষ একত্রে রয়েছে। কেউ বসে আছে, কেউ খাচ্ছে। তাদের খাদ্য অনেক রকমের কিন্তু ভােতই প্রধান খাদ্য ; সঙ্গে নানারকমের তরকারি থাকে , রান্না ঘরটিীও দেখা গল-চীনেরা আমাদের দেশের লোকের মত ভাতভোজী । রান্না ঘরে পাচকের রান্না করছে। এক জায়গায় একটী চীনে মেয়ে তার পা বেঁধে জুতো পৰ্ব্বছিল। তার পা চার পাঁচ বৎসরের মেয়ের মত। ছোট বলায় পা দুটােকে খুব জোরে এটে বেঁধে রাখায় আঙ্গুলগুলি মুচড়ে ভতর দিকে চলে গেছে, পা আর বাড়তে পারেনি। সে অতি যত্নে তার সই ছোট দুটী পায়ের সেবায় রত ছিল। আমরা দাড়িয়ে তার পাঁ। ধার কায়দা দেখলাম। পাকে একটা সৰু কাপড়ের টুকুর দিয়ে বেশ ঘরে ব্যাণ্ডেজ ধরণে বেঁধে তার উপর মোজা পৰ্ব্বলে। তার উপরে আবায় ক "জোড়া ছােট্ট কাপড়ের জুতাে পরলো। আমরা তার এই সাজসজ্জা খছি দেখে তার বেশ স্মৃৰ্ত্তি হলো ; সে হাসতে লাগল। ওদের এই পা ধা রীতি পৃথিবী-বিখ্যাত। তবে আজ কাল ওরা এ রীতি ওদের সমাজের নিষ্টকর বলে বুঝতে পেরেছে। সে জন্তে সংশোধনের চেষ্টা করছে ও জিকাল ছোট মেয়েদের প্রায়ই পা বঁধে না । এই চীনে নারীর কটী ছোট মেয়ে তার কাছে বসে ছিল দেখলাম, কিন্তু তার পা थ16नहै।