পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छiअन्त्रि यक्रम l ছিল। আমাদের জাহাজ এখানে পাইলটু নেওয়ার জন্যে দাড়াবে। জাহাজের মাস্তুলে আজ অনেকগুলি নিশান উড়ছে। তার মধ্যে একটা জাপানী নিশানও আছে। অন্য চারটি নিশান দিয়ে * জাহাজের নাম সঙ্কেতে জানানাে হচ্ছে। নৌ ভাষায় এই চারটীি নির্মান দেখলেই বন্দরের ও অন্য জুহাজের লোক বুঝে নেবে যে এ জাহাজটার নাম “টাকাডা” । অল্প পরেই পাইলটের মোটর বোট দেখা গেল ; জাহাজ ও অমনি দাঁড়াল। পাইলটু কথা বলবার যন্ত্র দিয়ে জিজ্ঞাসা করলে “ফুজি না। কোবে” অর্থাৎ কোন বন্দরের জন্য যাত্রী। আমাদের কাপ্তান তার উত্তরে বল্লে, “কোবে” । পাইলট এসে তখন আমাদের জাহাজে উঠল এবং সোজা কাপ্তানের “ব্রিজ ডেকে” গেল। এখন আমরা জাপানি রাজ্যে, সে জনো পাইলট ও অবশ্যিই জাপানি, লোকটার পোষাক পরিচ্ছদও অবিকল জাপানী। পরনে একটা মোটা ওভার-কোটু-পায়ে চটিজুতা ছিল। কাপ্তেনের সঙ্গে দাড়িয়ে দু-চার কথা বল্পে। কিন্তু কাপ্তেন তেমনি অমায়িক ভাবে তার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত বল্লে না। জাহাজ আবার চলতে আরম্ভ করলে। ইংরেজদূের মনের ভােব আজ বড় স্নান বলে বােধ হলো । জাপানীদের স্বাধীনতা এদের কাছে ভাল লাগেনা তা বেশ বুঝলাম । এরাও যে একটা বড় স্বাধীন জাত বোধ হয় এইটাই তাদের আঘাত করে। ভারতবর্ষে এদের সর্বত্রই আধিপত্য, কিন্তু এখানে এর কেউ নয়। এখন থেকেই তাদের ভাব-ভঙ্গি বদলে গেছে। সেই উগ্ৰ ভাব অনেক নম্র হয়ে এসেছে। এতদিন তঁরা জাপানি যাত্রীদের সঙ্গে ভাল করে কথাও বলতেন না ; কিন্তু আজ যে কয়জন জাপানি যাত্রী প্রথম শ্রেণীতে • ছিলেন, তাদের উপর খুব নজর পড়ে গেছে। ডিনারে আজ শেষ ডিনার বলে champagne ও অন্য সুরা বিনা পয়সায় পাওয়া যাচ্ছিল। মেজার মরিসন বলে একজন যাত্রী কাপ্তানকে