পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গমারী 32or কৰ্ত্তব্যের নির্বন্ধের জন্য মাত্র একটি বাস্ক খুলে দেখলেন ও আমাদের সঙ্গে বেশী সিগারেট আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলেন। আমাদের কাছে একটা টিন ছিল সেটায় একটা ছাপ মেরে ওঁর নাম লিখে দিলেন । । শুষ্ক আফিসের কৰ্ম্মচারীরা আমাদের জাহাজের একটি দম্পতির বাঙ্গ । সব খুলে দেখলে। আমাদের কাছে মিঃ সাকানােবির চিঠি থাকায় আমরা যে কি ঝঞ্চাট থেকে উদ্ধার পেয়ে গেছি তা এই ইংরেজ দম্পতিদের উপর শুল্ক ঘরের লোকেদের ব্যবহার দেখে বেশ উপলব্ধি করা গেল! সে বেচারারা সেখানে দাড়িয়ে তাদের সব বাঙ্ক খুলে দেখাতে লাগল, আর আমরা নিশ্চির্যন্ত মনে হোটেলে এলাম। হোটেলের লোক আমাদের জিনিষ পত্রের ভার নিলে । খবর পেলাম দশ নম্বরের ঘর আমাদের জন্য প্ৰস্তুত আছে। একজন জাপানি চাকর লিফটু ( lift ) করে আমাদের ঘরে নিয়ে পৌছে দিল। ঘরটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হোটেলট জাপানিদেরই, কিন্তু সব বিলাতি ধরণে সাজানো । খাওয়া দাওয়াও বিলাতি ধরণের। এখানে বেশী এমেরিকান ও বিলাতি লোক থাকে ; জাপানির সংখ্যা কম। তবে চাকর-বাকর, কেরাণী ইত্যাদি সব জাপানি । একজন শ্বেতকায় ম্যানেজার আছেন-তিনি এমেরিকান। আমাদের ঘরটি আমাদের বেশ পছন্দ হলো। সেখানে জিনিষপত্র রেখে আমুরা টাকা বদলাবার জন্যে বেরুলাম ; সঙ্গে আমাদের জাপানি টাকা ছিল না। অল্প দূরে যেতেই একজন জাপানি ভদ্রলোককে দেখে উনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যাঙ্কে যাবার রাস্তা কোন দিকে। জাপানি লোকটির বিলাতি কাপড় পরা ছিল। ইংরাজি ভাষায় ওঁকে বল্লে—“চলুন, আমি ব্যাঙ্ক দেখিয়ে দিচ্ছি”। রাস্তায় যেতে যেতে ওঁর সঙ্গে অনেক আলাপ হশ এবং পরে আমাদের যদি তার সাহায্যের কোন দরকার হয় ত সে খুৰ্থ আহিলাদের সহিত সাহায্য করবে একথাও জানালে। . আমাদের কিন্তু