পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

την ημένη. আমাদের সেতারের মত, কিন্তু যন্ত্রের আওয়াজ কতকটা পিরোনোর মত। ওস্তাদ ভদ্রলোকটি অন্ধ ও বুড়ে ; তারপর আরও অনেকবার ‘সিন” পড়লো ও উঠলো , দশ-বারো থেকে আরম্ভ করে, কুড়ি-বাইশ বছরের মেয়েরা ওস্তাদের সঙ্গে বসে বেদির উপর বাজনা বাজালো । “কোতাে’ ছাড়া ওরা আরও একটা যন্ত্র বাঙ্গালে, তার নাম ‘সাধিসেন’ । এই যন্ত্রটির আওয়াজ ও আকার অনেকটা আমাদের সেতারের মত তবে মাত্র তিনটি তার আছে। একটী বড় কাঠের মিজোরাফ” দ্বারা যন্ত্রটি বাজানো হয়। জাপানি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াসে বেশ মিষ্টতা আছে তবে তাদের গৎ ও গানগুলি এত এক-ঘেয়ে যে বেশীক্ষণ শুনতে ভাল লাগে না। মোটেৰ উপর জাপানি সঙ্গীত খুব 食 দায়ের নয় বলে আমার মনে হোল । .m আমরা যখন বসে সঙ্গীত শুনছি, তখন দূরে একটি জাপানি ভদ্রলোককে দেখে আমার স্বামী বল্লেন, মুখ ও আকৃতি দেখে মনে হচ্ছে লোকটি শিক্ষিত ও মার্জিত । সেই জন্যে উনি তার কাছে গিয়ে তাঁর । সঙ্গে আলাপ করলেন। সচরাচর জাপানিদের চোক নাক ছোট হয়, কিন্তু এ ভদ্রলোকটির আকৃতি অনেকটা আমাদের ভারতীয় লোকের মত। তার বেশ প্রশস্ত কপাল তবে-মুখে চোখে জাপানি ধাজও बांई। উনি তঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি ভারতবর্ষে গিয়েছেন কিন্ন। তিনি বল্লেন কয়েকবার গিয়েছেন। তাঁর কাছে আমরা জানলাম । একটি বাজনার স্কুলের বালিকাদের পিতামাতাবা খলচ দিয়ে এ কন্সটটির আয়োজন করেছেন; উদ্দেশাটী হচ্ছে, তঁদের মেয়েদের সঙ্গীত-বিদ্যা সকলের কাছে পরিচিত হয়। তাছাড়া যে সব যুবক বিবাহ করিতে ইচ্ছুক, তারা যাতে মেয়েদের গুণাপনা প্রত্যক্ষ দেখে পাত্রী নিৰ্বাচন কল্পতে পারে, সে উদ্দেশ্যটিও তলায় থাকে। এই রকম কনসার্টে বিবাহের সহায়তা হয়।