পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stava S8 জাপানি মহিলাদের প্রায় সকলেই কালো কিম্বা ছাই রদের কিমোনে৷ পরেছিলেন। তঁদের পিঠের নাচে যে একটি বালিসের মত জিনিষ থাকে, সেটি আমাদের কাছে একটি প্রফেলিকা বলে বোধ হোত । এখন জানা গেল, সেটি কিমােনাে বেঁধে রাখবার এক Áरुम কোমর-বন্ধ । জাপানিতে ওরা এটিকে ‘ওবি” বলে। জাপানি ভদ্রমহিলাদের এই ‘ওবিটিই রঙ্গিন ও সৌখীন রকমে সাজান থাকে। ই কিমোনে কখনই রঙচঙে দেখা যায় না। রঙচঙে হয়, নাচওয়ালী ও চাকরাণী প্ৰকৃতি ইতর শ্রেণীর স্ত্রীলোকদের কিমোনো। সুতরাং, কিমোনো দেখে ইত্যর ভদ্র অনেকটা জানা যায়। কিন্তু বারো তেরো বছরের মেয়েদের রঙ্গিন কিমোনো পয়ুতে বাধা নেই। বালিকার যখন রঙ্গিন কিমোনো পরে বেড়ায়, তখন তাদের এক একটিকে যেন সুন্দর প্রজাপতি বলে মনে হয়। বেশ-ভূষা সম্বন্ধে এই রীতি আমার বড় ভাল লাগল। আমরা এতগুলি ভদ্রমহিলা একত্র দেখলাম। কিন্তু কালো বা ছাই রঙ্গের র্কিমোনো ছাড়া অন্য কোন উজ্জ্বল বর্ণের কিমোনো কারুর গায়ে দেখা গেল না। তাছাড়া এক জনকেও সোণ বা হীরার গহনাও পৰ্ব্বতে দেখলাম না। খালি ঐ ‘ওবি’টিতেই ওদের পোষাকের বাহার। ধনী ঘরের মেয়েদের এক একটা ‘ওবিতেই” পাঁচ ছয় শত টাকা খরচ হয়। সকলে অবশ্য অত দামী ‘ওবি” পৰ্ব্বতে পারে না। গৃহস্থ ঘরোয় মেয়ের সুন্দর জরির ও রেশমের কাজ করা “ওবি” পরেছেন দেখলাম। * যিনি যত ধনী তিনি তত দামী “ওবি” পরেন। জাপানী মহিলাদের চুল বাধা বার কায়দা দেখলেও আশ্চৰ্য্য হতে হয়। ওরা নানা রকমে চুল বঁধে ও চুলে অনেক রকমের চিরুণী ও পুঁতির গহনা লাগায়। মেয়ের বিবাহের পূর্ষে এক রকমের চুল বাঁধে ; চির-কুমারীরা আর রকমে চুলের বাহার করে; বিবাহিতা মহিলারা আবার অন্য রীতিতে চুলের তোয়াজ