পাতা:জাপানে বঙ্গনারী - সরোজ-নলিনী দত্ত.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে বঙ্গলারী শিক্ষা দেওয়া হয়। ঘরের সমস্ত মেঝেতে মাদুর প্রাঙামাছে। তারই উপরে তিনটা ছোট গোল গদি পাতা ছিল, আমাদের বসবার জন্য । আমরা বসলে । তারা তিনটা ‘টে” এনে সামনে দিলো, তাতে চারটা করে চিনে মাটির বাট ছিল ; একটাতে ভাত, একটাতে মাছের সুরুয়া, ও অন্য দুটো ধাটিতে মাছের তরকারির মত किहिन কিন্তু খাবার গুলিতে এত খারাপ গন্ধ লাগলো যে আমার পক্ষে তা খাওয়া অসম্ভব। হল। খাতিরে পড়ে একটু ভাত মাত্র মুখে দিলাম, সুরুয়া ও তরকারিগুলো নাম মাত্র ছিলাম। এই গন্ধের চােট সামলাতে আমার কিন্তু চার পাঁচ দিন সময় লেগেছিল। যা খেতাম তাতেই এই ভয়ানক গন্ধ অনুভব কবুতাম। আমাদের খাবার জন্য চপষ্টিক দিয়েছিল ; কিন্তু আমি তা ব্যবহার করতে পারলাম না, সে জন্য তঁরা আমার জন্য একটা চামচ, এনে দিলেন। আমার স্বামী কোন প্রকারে চাপ ষ্টিক দিয়ে খেলেন। হাঁপানি ঋণাত্নসম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা হলো এৰূপর আর জাপানি খাবার ! শ্ৰীল, না প্রতিজা করলাম। খাওয়ার পর আমরা পাশে একটা ঘরে }ঞািন্টু বিশ্রেীম কল্পতে গেলাম ; সে ঘরে কয়েকটি চৌকি টেবিল ছিল। ; গুলাকা থেকে একটা পুরুষ শিক্ষক এসে মেয়েদের “ ਬਕ ਜਿ দেন । তিনি এলে কয়েকটু জাপানি ফ্লেয়ে তেঁার {"ঙ্ক্যাচ্ছেশিক্ষা কম্বুলে। আসারা তাও দেখলাম। মিসেস মুকামোটাে তারপর উপর নীচে আরও কয়েকটা ক্লাশ ঘর দেখালেন। আমরা উপরে গিয়ে দেখলাম, কয়েকজন ছাত্রী মিলে ঘর দোর পুঁচিছে, ঝাঁট দিচ্ছে, এমন কি বালতি করে নিজের জল এনে ঘরের মেঝেগুলো পৰ্য্যন্ত ঘুভেচ্ছা! মিলিল কোমোেটা বলেন যে, এটা মেয়েদের শিক্ষার, একটা অঙ্গ। অীমাদের দেশে বই, পড়িয়ে মুখস্থ করিয়ে, মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হয় । কিন্তু এটা বই পড়ার সঙ্গে হাতে কলমে সৃষ্টান্ত দেখিয়ে শিক্ষা দিচ্ছে। ফি”