পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ సెసి করিয়া ফেলিল ! আমার শরীরেও বলের অভাব ছিল না, সুবিধা থাকিলে আমি কিছু কাল ধস্তাধস্তি না করিয়৷ এই ভাবে ধরাশয্যা গ্রহণ করিতাম না; কিন্তু বলিয়াছি, আমার হস্তদ্বয় পূৰ্ব্বেই রজ্জ্ববদ্ধ হইয়াছিল, সুতরাং আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করিতে পারিলাম না। ভূত্যটি আমাকে মাটীতে ফেলিয়া, আমার গলদেশে পূৰ্ব্ব-বর্ণিত শিকল জড়াইয়া ক্রমে তাহাতে পাক দিতে লাগিল ! কয়েক পাকের পর সেই শিকল গলদেশে এমন অণটিয়া বসিল যে, আমার শ্বাসরোধের উপক্রম হইল । বোধ হয় শিকলে আর এক পাক দিলেই দম্ আটকাইয়া . আমার প্রাণবিয়োগ হইত ; কিন্তু সে হঠাৎ থামিল। পূৰ্ব্বোক্ত চীনামান পুনৰ্ব্বার কর্কশ,কণ্ঠে বলিল, “এখনও বল, ডাক্তার অকুমা সম্বন্ধে কি জান!” জীবনের সেই অস্তিম মুহূৰ্ত্তে, প্রাণ যখন কণ্ঠাগত হইয়া উঠিয়াছিল, এবং সেই শৃঙ্খলের চাপে যখন সৰ্ব্ব শরীর অবসন্ন, ও নিদারুণ যন্ত্রণায় অস্তরেঞ্জিয়ের সকল শক্তি ক্রমে বিলুপ্ত হইয়া আসিতেছিল, সেই সময়েও আমি বলিতে বাইতেছিলাম, “নুতন কিছু বলিতে পারিব না।” কিন্তু শৃঙ্খলের চাপে আমার কণ্ঠনালী হইতে কথা বাহির হইল না, ঘড় ঘড় শব্দ নির্গত হইল মাত্র ; “ সঙ্গে সঙ্গে আমার সৰ্ব্বাঙ্গ কম্পিত হইতে লাগিল, কর্ণমূলে যেন প্রলয় কালের মহা ঝটিকার আবির্ভাব হইল ; প্রতি মুহূর্তে চক্ষুর সম্মুখে অন্ধকার ঘনীভূত হইয়া আসিতে লাগিল! আর এক মুহূর্ত পরেই হয়ত আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িতাম! কিন্তু আমার সংজ্ঞালোপ হইবার পূৰ্ব্বেই উক্ত তিন জন চীনামানেৰু’ এক জন বেত্ৰাসন হইতে উঠিয়া আমার নিকটে আসিয়া কণ্ঠের বন্ধন