পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭e জাল মোহান্ত কুকুরকে আদর কর শেষ হইলে হেন আমাদের কাছে আসিয়া অল্প দুই চারিটি কথা বলিল; সে সকল কথা সে তাহার ভগিনীপতিকেই লক্ষ্য করিয়া বলিল । তার পর ঘরে যেন কি কাজ আছে, এই ভাবে সে চলিয়া গেল। তাহার ব্যবহারে বোধ হইল, আমি যে সেখানে বসিয়া আছি, তাহা যেন সে দেখিতেই পায় নাই ! তাহার এই ব্যবহারে আমি বড় মৰ্ম্মাহত হইলাম। আমার কোনও কথায় বা কার্য্যে হেন কি আমার উপর অসন্তুষ্ট হইয়াছে ? না, স্ত্রীলোকের প্রকৃতিই এইরূপ ? ইতিপূৰ্ব্বে অনেক কবিতায় ও উপন্যাসে পাঠ করিয়াছি, পুরুষ যখন দুঃখে, কষ্ট্রে ও বিপদে অভিভূত হয়,-যখন সে সংসারে কাহারও সহায়তা বা সহানুভূতি না পায়, তখন নারী করুণাময়ী দেবী মূৰ্ত্তিতে তাহার সমক্ষে আবিভূত হইয় তাহার হৃদয় বেদন দূর করে ; কিন্তু যখন বিপদের মেঘ কাটিয়া যায়, তখন সেই নারী ধীরে ধীরে দূরে সরিয়া দাড়ায় । আমার মনে হইল, জাহাঙ্গে চড়িয়া চিরতুষারসৰাচ্ছন্ন উত্তর মেরু প্রদেশ আবিষ্কার করা বরং সহজ, কিন্তু নারীচরিত্রের রহস্ত ভেদ করা অতীব দুরূহ ! তাই বুঝি শাস্ত্রকারের সেই রহস্ত ভেদে অসমর্থ হইয়। রমণীর চরিত্র সম্বন্ধে বলিয়া গিয়াছেন, ‘দেবাঃ ন জানস্তি কুতো মনুষ্যাঃ ?’-পৃথিবীর আরম্ভকাল হইতে কত প্রেমিক, কত পণ্ডিত, কত কবি, কত দার্শনিক নারী-চরিত্রের রহস্ত বিশ্লেষণের চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু শঙ্করাচার্য্য হইতে সেক্সপিয়র পর্য্যস্ত কেহ যে কৃতকার্য্য হইতে পারিয়াছেন এরূপ শুনি নাই। যদি আমি হেনাকে ভাল না বাগিতাম, তাহা হইলে হয় ত এ সকল তত্ত্বকথা আমার মনে উদিত হইত না ; কিন্তু অধিক বয়সে-যৌবনের প্রায়