পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ১৭৩ আসিয়াছেন, তাহারা" বুঝিবেন আমার একটি কথাও অতিরঞ্জিত নহে। আমি হেনাকে সঙ্গে আনিয়া বড়ই কুকৰ্ম্ম করিয়াছি, ইহ। বুঝিতে পারিলাম ; কিন্তু তখন আমরা প্রাচীরের অদূরে আসিয়া পড়িয়াছিলাম, সুতরাং প্রাচীরে না উঠিয়া আর ফিরিলাম না। প্রাচীরের কাছে আসিয়া দেখিলাম, প্রাচীরের উপর উঠিবার জন্য স্থানে স্থানে প্রশস্ত সোপান আছে ; সোপানশ্রেণী অবলম্বন করিয়৷ আমরা প্রাচীরের উপর এক স্থানে উঠিয়া বসিলাম, এবং সেই স্থান হইতে নগর দর্শন করিতে লাগিলাম। সন্ধ্যাকালের সেই দৃশ্যটি আমার নিকট বড়ই চমৎকার বোধ হইল ; দুরে চি-এন-মেন অর্থাৎ প্রাচীর অতিক্রম করিয়া নগরে প্রবেশ করিবার প্রকাণ্ড সদর দেউড়ী, নিকটেই একটি ক্ষুদ্র মঠ, এই মঠের পাশ দিয়া একটি পথ ; দেখিলাম এই পথে শত শত কুলি,পণ্যজীবি, বিচিত্র পরিচ্ছদধারী নাগরিকবর্গ, ফেরিওয়াল, তিক্ষুক, বিভিন্ন আকারের শকট, ঘোড়া, উট গন্তব্য স্থানে চলিয়াছে। কয়েক শত গজ দূরে দুইটি সমুচ্চ মিনার, মিনার দুটা এই প্রাচীরেরই অংশ । নগরের অসংখ্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ গৃহের ছাদ, বোধ হইল তাহার। ষেন তাহদের বক্ষে কি এক বিপুল রহস্ত ঢাকিয় রাখিয়াছে ! কোনও স্থানে গুiমল তৃণরাশি সমাচ্ছন্ন প্রাস্তর, কোথাও বা নানা জাতীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃক্ষ । অনেক দূরে চীন সম্রাটের বিরাট বিশাল হৰ্ম্ম্যরাজি আকাশের বহু উৰ্দ্ধে শুভ্র মস্তক উত্তোলন করিয়া সগৰ্ব্বে দণ্ডয়মান রহিয়াছে । আরও দূরে লামা সরাইয়ের মঠের অভ্ৰভেদী চুড়া—সন্ধ্যার ঈষালোকে আমাদের নয়নপথে নিপতিত হইল । * আমি জানিতাম, শীঘ্রই আমাদিগকে সেই রহস্যপূর্ণ স্থানে উপস্থিত হইতে হইবে ; সুতরাং