পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ పి 68 কতকগুলি সোপানের উপর উঠিতে হইল ; এই সোপানশ্রেণী অতিক্রম করিয়া আমরা একটি চকের প্রাঙ্গনে উপস্থিত হইলাম । প্রাঙ্গনটি সুপ্রশস্ত ; তাহার চতুর্দিকে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ, সেই সকল কক্ষের ছাদ অত্যন্ত উচ্চ । প্রাঙ্গনের মধ্যস্থলে বুদ্ধ দেবের একটি দারুময় মূৰ্হি দেখিতে পাইলাম। এরূপ বিরাট বুদ্ধ মুষ্টি আমি আর কোনও দেশে দেখি নাই , মূর্ণিটি প্রায় সত্তর হাত উচ্চ ; বুদ্ধ দেবের চক্ষু-তারকা দু’টি ছ’খানি গরুর গাড়ীর চাকার মত ? নাসিকাটি বোধ হয় পাঁচ হাতের কম নহে! বুদ্ধ দেবের উভয় হস্তে দুইটি শতদল পদ্ম, এক একটি পদ্মের উপর দ্বাদশ জন ব্রাহ্মণ চক্রাকারে বসিয়া" ফলাহার করিতে পারে ; মস্তকে সুবর্ণ মুকুট, মুকুটটি যেন কলিকাতার মকুমেণ্টের চড়া ! মুকুটটি বিচিত্র কারুকার্য্য খচিত ; সম্ভবতঃ তাহা নিৰ্ম্মাণে প্রায় এক মণ স্বর্ণ লাগিয়াছে । আমি ক্ষণকাল স্তম্ভিত ভাবে সেই বিরাট মূৰ্ত্তির দিকে চাহিয়া রহিলাম ; হাতীর নিকট মশাকে যেরূপ ক্ষুদ্র দেখায়, সেই বুদ্ধ মূৰ্ত্তির পদপ্রাস্তে দণ্ডায়মান হইয়া আমাদিগকেও সেইরূপ ক্ষুদ্র দেখাইতে লাগিল । এই প্রাঙ্গনের চতুদিকে যে সকল সংকীর্ণ কক্ষ ছিল, তাহাদের উপরে দ্বিতল, আরও অনেক উচ্চে দেখিতে পাইলাম, তাহাদের ছাদ চুড়াকার, অনেকটা মন্দিরের চড়ার মত । এই প্রাঙ্গন অতিক্রম করিয়া আমরা একটি সিংহদ্বারের সম্মুখে উপস্থিত হইলাম ; স্বারের উভয় প্রাস্তে পিত্তল নিৰ্ম্মিত দুইটী প্রকাণ্ড সিংহ-যুৰ্বি দেখিলাম; এই দ্বার অতিক্রম করিলে আমরা প্রকত , প্রস্তাবে মঠের ভিতর প্রবেশ করিলাম। মঠের প্রাচীর প্রাচ্য ভাস্কর