পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ షి S) করিয়া অগ্রসর হইয়া উহাদের দলের মধ্যে গিয়া দাড়াইলাম ; আমাকে দেখিয়া তাহারী কিছু বিরক্ত ও সঙ্কুচিত হইল। তাহাদিগকে কুষ্ঠিত হইতে দেখিয়া আমি আর অধিক ক্ষণ সেখানে দাড়াইলাম না ; প্রাঙ্গনে যেখানে বুদ্ধদেবের বিরাট দারু মূৰ্ত্তি সংস্থাপিত ছিল, সেই স্থানে উপস্থিত হইলাম ; সেখানে দেখিলাম, দশ বার জন সন্ন্যাসী শিলাসনে উপবিষ্ট হইয়া গল্প আরম্ভ করিয়াছে ; তাহদের সকলেরই মস্তক মুণ্ডিত, পরিধানে গৈরিক বাস এবং প্রত্যেকের হস্তেই এক একটি বিড়ি ; অস্তোন্মুখ তপনের পীত রশ্মিরাগ সন্ন্যাপীদের মুখে পতিত হুওয়ায় তাহাদিগকে কোন অজ্ঞাত রাজ্যের রহস্যময় জীব বলিয়। মনে হইতে লাগিল। আমি সেই সন্ন্যাসী মণ্ডলীকে নত মস্তকে অভিবাদন করিয়। তাহদের পাশ্বদেশে শিলাসনে উপবেশন করিলাম । এক জন সন্ন্যাসী তখন একটি গল্প বলিতেছিল ; অনেকের বিড়ির আগুন পর্য্যন্ত নিভিয়া গিয়াছিল! একটু গুনিয়াই আমি বুঝিতে পারিলাম, গল্পটি ঠাকুরমার উপকথা ; তাহাতে দেবতা আছে, দৈত্য আছে, ভূত প্রেত আছে, ডাইনী বুড়ী আছে, যেন তাহা আরব্যোপষ্ঠাসের একটি নুতন সংস্করণ ; আমি স্থির"ভাবে বসিয়া গল্পটি শেষ পর্যন্ত শুনিলাম, এবং গল্প শেষ হইলে সমজদারের মত মাথা নাড়িয়া বলিলাম, “হা, ইহা অতি উত্তম কাহিনী, এমন কাহিনী, সচরাচর সকলের মুখে শোনা যায় না।" -আমার এই চাটুবাক্য নিষ্ফল হইল না, আমার উপর সকলেরই দৃষ্টি নিপতিত হইল ; তখন সেই সন্ন্যাসী দলের নিকট বাহাদুরী লইবার জন্য আমার মনে একটু লোভ হইল ; আমি, স্বয়ং আরব্য উপন্যাসের একটি অদ্ভূত গল্প আরম্ভ করিলাম। কিয়ৎকাল