পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ పిఁగి নিকট উপস্থিত হইলে আড়ালে দাড়াইয়া তাহাদের আলাপ শুনিতে পাওয়া সম্ভব ; কিন্তু সেই স্থানে উপস্থিত হওয়া কতদূর সম্ভব, তাহ। বুঝিতে পারিলাম না। আগন্তুকের যে কক্ষে ছিল, সেই কক্ষের স্বারে উপস্থিত হইলেই তাহাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিব, ইহা বুঝিতে পারিয়া আমি সে দিকে অগ্রসর হইলাম না। আমার কক্ষের সম্মুখে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত রেলিংএর উপর দাড়াইয়া দেখিলাম, সহজেই ঘরের ছাদ স্পর্শ করিতে পারা যায় । আমি উভয় হস্তে ছাদের কার্ণিল ধরিয়া অতি কষ্ট্রে ছাদে উঠিলাম, এবং আমাদের ছাদের উপর দিয়া, তাহারা যে ঘরে বাস করিতেছিল, মঠের কাৰ্ষিস অতিক্রম করিয়া সেই ঘরের ছাদে আসিলাম। কিন্তু ছাদের উপর হইতে আমার উদ্দেপ্ত সিদ্ধির অন্ত কোন সম্ভাবনা দেখিলাম না ; বুঝিলাম যেমন করিয়া হউক, পশ্চাতের বাতায়নের নিকট না যাইলে উপায় নাই ; কিন্তু কাজটা কিরূপ কঠিন ও বিপজ্জনক, তাহা অবিলম্বেই বুঝিতে পারিলাম। তখন কৃষ্ণপক্ষের খণ্ডচন্দ্ৰ পূৰ্ব্বাকাণে উদিত হইতেছিল, তাহার মৃদ্ধ আলোকে ছাদ হইতে ঝুকিয়া পড়িয়া দেখিতে পাইলাম, ছাদের প্রায় তিন হাত, নীচে-গৃহের ভিত্তি হইতে যেখানে প্রাচীর আরম্ভ হইয়াছে, সেই স্থানে একটি অতি অপ্রশস্ত ‘আলিসা" । আছে ; জানালাটির অব্যবহিত নিয়েই এই ‘আলিসা"। এই “শালিসা’য় পা রাখিয়া প্রাচীর ধরিয়া জানালার পাশ হইতে ঘরের লোকের কথা শুনিবার চেষ্টা করা যাইতে পারে, কিন্তু যদি দৈবক্রমে পা একটু সরিয়া যায়—তাহা হইলেই পাঁচ শত ফিট নিয়ে পৰ্ব্বত:গুহায় পড়িয়া প্রাণ হাৱাইতে হইবুে ! তবে শাশার কথা এই যে, এই বাত্বায়নের እ ፃ