পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ xව (Nව් শ্চর্য্যায় জীবনপাত না করিয়া মানবজাতির কল্যাণের নিমিত্ত যদি তিনি এই দুষ্কর সাধনায় ব্ৰতী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি জালসন্ন্যাসী হইলেও তপঃপরায়ণ স্বার্থপর যোগী ঋষিগণের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ পুরুষ । অকুমাকে আর বিরক্ত না করিয়া আমার কক্ষে প্রত্যাগমন কৰ্বিলাম ; অকুমার সহিষ্ণুতার কথা ভাবিয়া নিজের ক্ষুধার কথা বিক্ষু স্ত হইলাম। ভাবিতে লাগিলাম, ডাক্তার অকুমা অপেক্ষ আমি কত ক্ষুদ্র, ধৈৰ্য্যে ও সঙ্কল্পের দৃঢ়তায় আমি তাহার ছায়াম্পর্শ করিবার যোগ্য নহি, অথচ আমি সেই পূণ্যভূমির লোক, যে দেশে জাপানীদিগেপ দৰ্ম্ম গুরু মহাপুরুষ বুদ্ধদেব আবিভূত হইয়া অৰ্দ্ধ ভূমণ্ডলে মোঙ্কের অমুতময় বাৰ্ত্ত। প্রচার করিয়াছিলেন ! বুঝিলাম, আমি কেন চিরপরাধীন বাঙ্গালী, আর অকুমার জাতি মুষ্টিমেয় লোক লইয়। ইউরোপ ও আমেরিকার সহিত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অগ্রসর । নিজের অপদার্থতায় নিজের উপর ধিক্কার জন্মিল । স্বৰ্য্যাস্তের কিছু পূৰ্ব্বে অকুমা আমাকে ডাকিলেন। মনে পিঞ্চিং আশার সঞ্চার হইল, এত ক্ষণ পরে হয় ত উদরের প্রত্বেলিত ভুতাশনে ইন্ধন নিক্ষেপের সুবিধা হইবে। আমি অকুমার কক্ষে উপষ্ঠিত হইয়। দেখিলাম, পীতবর্ণঘাটাটোপ-ঢাকা একটি সন্ন্যাসা চলস্থ পাশ বালিসের মত আমাদের সম্মুখে উপস্থিত! সন্ন্যাসীকে আসিঙ্গে,দেখিয়াই অকুমা ধানে বসিয়াছিলেন ; তাহাকে ধ্যানস্থ দেখিলে পাহারও বলিবার সাধ্য ছিল না যে, তিনি ভণ্ড তপস্বী। তাহাকে ধ্যানস্থ দেখিয়। আগন্তক সন্ন্যাসী-দ্বারপ্রান্তে স্তব্ধ ভাবে দণ্ডায়মান রহিল ; তাহার উঠয়