পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ළුම්ෂි জাল মোহান্ত বেলুনার বন্ধন-স্মৃতিতে হৃৎপিণ্ডের মধ্যে যেন টনটন, করিতে লাগিল। আমি এক বার অকুমার মুখের দিকে চাহিলাম ; দেখিলাম তাহার মুখ ভাবসংস্পর্শ বিহীন, তিনি সম্পূর্ণ আত্মসমাহিত ; জীবনের এরূপ মহাসঙ্কটকালে এরূপ প্রকৃতিস্থ থাকা অল্প সাধনার ফল নহে । দলপতি সন্ন্যাসী.আমাদের দিকে চাহিয়া বলিল, “তোমাদের এই . অস্তিম কালে যদি কোনও কামনা থাকে, তাহ আমার নিকট প্রকাশ করিতে পার –তোমাদের কি কোনও প্রার্থনা নাই ?” অকুমা এতক্ষণ পরে কথা কহিলেন, বলিলেন, “আমার একটিমাত্র প্রার্থনা আছে, কিন্তু সে প্রার্থনা আমার নিজের জন্য নহে, তত্ত্বজ্ঞগণের জ্ঞানামুশীলনের সুবিধার জন্যই আমার এ প্রার্থন। আমি জানি, জন্মিলে মৃত্যু অনিবাৰ্য্য ; কিন্তু এ ভাবে পৰ্ব্বত-গহবরে নিক্ষিপ্ত হইয়া ইহ-জীবনের অবসান হইবে, ইহা কখনও কল্পনা করি নাই। আপনার কেন এ ভাবে আমার দেহ নষ্ট করিবেন ? যখন আমি দেশে ছিলাম, সেই সময় একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত আমার মস্তক পরীক্ষা করিয়া বলিয়াছিলেন, এরূপ অসাধারণ মস্তক লক্ষ জনের মধ্যেও ছুলভ । আমার এই সহচরটির দেহের মাংসপেষী সম্বন্ধেও ঠিক এই কথাই বলা যাইতে পারে। আমাদের মৃত্যুর পর আমার মস্তিষ্ক ও আমার সহচরের মাংসপেষী ব্যবচ্ছেদ করিলে কোন-না-কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্যের আবিষ্কার অসম্ভব নহে ; যদি আমার মৃত্যুতে বিজ্ঞানের কোন নুতন তথ্য আবিষ্কারের সুবিধা হয়, তাহা হইলে সেই মৃত্যু আমার পক্ষে যতই যন্ত্রণাদায়ক হউক, তাহা আমি শ্লাঘার বিষয় মনে করিব ।”