পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ ו פאeפ একখানি অতি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংগ্ৰহ করিলেন। মশালের আলোকে, দেখিলাম এই পাণ্ডুলিপির কাগজ এত পুরাতন যে, তাহার বর্ণ পীতাভ হইয়া গিয়াছে, এবং খসিয়৷ খসিয়া পড়িতেছে ; বোধ হইল পুস্তকখানি দ্বিসহস্রাধিক বর্ষের পুরাতন ! • কাৰ্য্য শেষে অকুমা আমাকে বলিলেন, “কাৰ্য্যোদ্ধাতু হঠযাছে, আর বিলম্ব নাই, চল এখান হইতে বাহির হওয। যাউক ।" ইতিমধ্যে আমার হাতের মশালটা ধক্ ধৰ্ব্ব করিয়! জলিয়া নিভিয়া গেল।--আমর সেই ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়া রহিলাম , অকুম বলিলেন, “মশালট। নিষ্ঠিয় যাওয়ায় বড়ই অসুবিধ হইল ; কিন্তু আক্ষেপ করিয়া ফল নাই, হাতড়াইতে হাতড়াইতে এধান হইতে বাহির হইতে না পারিলে আমাদের মৃত্যু নিশ্চয়।” আমি বলিলাম “আমি কিছুই দেখিতে পাইতেছি না, কোন দিকে যাইব, পথ কোথায় ?” অকুমা আমার হাত ধরিয়া লইয়। চলিলেন, আমরা কোন পথ দিয়া কত দুর চলিলাম, তাহা বুঝিতে পারিলাম না। অনেক ক্ষণ পরে অকুমা আমাকে বললেন, “সম্মুখে সিড়ী, এই সিড়িী দিয়া উপরে উঠিতে হইবে।” . আমরা উভয়ে সোপানশ্রেণী অতিক্রম করিয়া একটি গুহ্যদ্বারে উপস্থিত হইলাম। এই গুহাটিও নিৰ্ব্বিঘ্নে পার হইলাম, তাকুর পরেই আর একটি সুড়ঙ্গ পাইলাম। এই সকল পথের আট দশ গজ ব্যবধানে এক একটি প্রঞ্জলিত মর্শাল থাকায় আমাদের চলিবার পক্ষে বিশেষ অশ্নবিধ হইলন। শেষ মুড়ঙ্গটি পার হইয়। যেখানে আসিলাম,