>や জিজ্ঞাসা জগতের মশলা কোথা হইতে আসিল, ইহার উত্তর মিলিল না। তবে মশলা দেওয়া থাকিলে জগদ্ যন্ত্র নিৰ্ম্মিত হইল কিরূপে, ইহা যুক্তর বিষয় হইতে পারে। ইহা বিজ্ঞানের বিষয়, বিজ্ঞানেরই বিচাৰ্য্য ; বিজ্ঞান কষ্টে স্বষ্টে যথাসম্ভব উত্তর দিবার চেষ্টা করিতেছে । বিজ্ঞান যাহাকে প্রাকৃতিক নিয়ম বলে, যাঙ্গকে তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছার বিকাশ বলিতেছ, তাহারই দ্বারা জগতের নিয়|৭গুণ।.ী, ক্রিয়াপ্রণালী সঙ্গতভাবে বুঝিবার চেষ্টা হইতেছে ; কতক বুঝা যাইতেছে । কেন এমন হইতেছে একথার উত্তর মিলে না ; তবে কিরূপে হইতেছে, তাহার উত্তর বিজ্ঞানের নিকট মিলিতে পারে । যে ভাবের ব্যাখ্যায় মন তৃপ্তি লাভ করে, সেই ভাবের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের নিকট মিলিতেছে । অন্ত কোন রূপে বুঝিবার ক্ষমতা মনুষোর নাই ; সে প্রয়াসও বিজ্ঞান করে না । প্রাকৃতিক নিয়মকে ঈশ্বরের ইচ্ছার বিকাশ বল, বড় আপত্তি নাই ; সে কেবল কথার মারপ্যাচ। তবে “ঈশ্বরের ইচ্ছা" এই কথাটা কতকটা মন্ধের চোখে ধূলি দেওয়া গোছের হয়, এই মাত্র আপত্তি। ইচ্ছ শব্দে মানুষের ইচ্ছা, কুকুরের ইচ্ছা, গরুর ইচ্ছ, জীব জস্তুর ইচ্ছ, এই রকম একটা কিছু বুঝিতে পারা যায়। কাঠপাথরের ইচ্ছ, গাছ পালার ইচ্ছা কি অশরীরী কোন কিছুর ইচ্ছ, আকাশকুসুমের মত নিরর্থক । ঈশ্বর শব্দে তোমরা অশরীরী স্বষ্টিছাড়া কোন একটা কিছু বুঝিয়া থাক সেই ঈশ্বরের ইচ্ছা বলিলে কি অর্থ বুর্কিব, তাহ অভিধানেও নাই, বুদ্ধিতেও আইসে না । সুতরাং ঈশ্বরের ইচ্ছায় জগৎ এইরূপ হইয়াছে, এইরূপে চলিতেছে, এ কথার অর্থটা ভাল হৃদগত হয় না। ঈশ্বরেচ্ছ আমাদের অবোধগম্য, বুদ্ধির অতীত একটা কিছু ; মানবেচ্ছার সহিত তাহার কোন সাদৃশু নাই । এরূপ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট থাকিতে ইচ্ছা झग्न, इडेक । ! ঈথর এবং পরমাণু, এই দুই মশলাতে জগৎ নিৰ্ম্মিত ।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০৫
অবয়ব