পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৃষ্টি సిసి হইতে পারেন। প্রাচীনের মধ্যে বৌদ্ধ ও বৈদান্তিক স্বতন্ত্র প্রকৃতির অস্তিত্ব ੋੜ করিতেন না ; আধুনিকের মধ্যে বার্কলি, হিউম, হক্সলী প্রভৃতি ইহা স্বীকার করেন না । আমি জগতের অংশ, ইহা ঠিক্‌ সত্য নঙ্গে ; জগৎ আমার অংশ, ইহাই বরং সত্য । জগৎ, না থাকিলে আমি থাকিতাম না, বোধ করি বলা যাইতে পারে না ; কিন্তু আমি না থাকিলে জগৎ থাকিত না, ইহা বোধ হয় সাঙ্গসের সঠিত বলিতে পারা যায়। ব্যক্ত জগতের অমকে ছাড়িয়; স্বতন্ত্র অস্তিত্ব সপ্রমাণ করা যায় না। উহা আমারই নিজের অংশ, বা ছায়, বা সমীপস্থত প্রতিমূৰ্ত্তি, এইরূপ বলিলে অনেকটা যুক্তিসঙ্গত হয়। জ্ঞানবিস্তারের সহিত জগতের একটু, আর একটু, আর একটুর সহিত ক্রমশঃ আমার পরিচয় হইতেছে, ইহা সম্পূর্ণ ঠিক নহে ; আমারই আত্মবিকাশের সহিত আমার জগৎ ক্রমে স্বষ্টি বুদ্ধি বিকাশ বা অভিব্যক্তি লাভ করিতেছে, বরং ঠিকৃ। কতকগুলি চিৎপদার্থ বা চৈতন্ত কণার সমষ্টিতে আমার চৈতন্ত । চৈতন্তের একটি বিশেষ শক্তি আছে, সে আপনার সমগ্রটাকে, অর্থাৎ সমুদায় চৈতন্য কণার প্রবাহটাকে, এক স্বরূপে দেখিতে পায় ও আপনাকে আপনি চিনিয়া লয় ; চিং-কণিকাগুলির পরস্পরের মধ্যে একটা সম্বন্ধ স্থির করিয়া লইয়া বা কুল্পনা করিয়া লইয়া উহাদের সমষ্টিকে আমার চৈতন্ত এই আথা। দেয় । এই অবিচ্ছিন্ন নিরস্তর চৈতন্যপ্রবাহের কল্পন। হইতে আমি আছি, আমি দেখিতেছি, আমি করিতেছি হত্যাদি কল্পনার উৎপত্তি। আবুর ইহা আপনার উপাদানস্বরূপ চিৎকণাগুলিকে এক এক করিয়া খুটিনাটি করিয়া, বাছিয়া, গোছাইয়া, সাজাতীয় দেখিতে চায় ; আপনাকে আপনি বিশ্লেষণ করে ; এই বিশ্লেষণচেষ্টায় চৈতন্তের স্ফূৰ্ত্তি ও বিকাশ ; আমার জ্ঞান বুদ্ধ বাসন মুখ দুঃখ প্রভূতির উৎপত্তি। বৈদান্তিকের আত্মার বিকাশের তিনট।