কে বড় ? >>° তুমি আছ । তুমি কতকগুলা খেয়ালের সমষ্টি । এই খেয়াল ছাড়িয়া তোমার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই। খেয়াল আছে, অতএব তুমি আছ ; অথবা তুমি আছ, অতএব খেয়াল আছে । তোমার খেয়ালগুলার মধ্যে, তোমার কল্পনাগুলার মধ্যে, তোমার স্বষ্টিসমূহের মধ্যে, একটা শৃঙ্খলা, একটা ধারাবাহিকতা, একটা পারম্পর্য্য, একটা সমবায়, দেখিয়া তুমি বিস্মিত হও ও তোমার কল্পিত জগৎকে নিয়মাধীন ও সুব্যবস্থ দেখিয়া চমকিত হও । কিন্তু সে বিস্ময়েরই বা কারণ কি ? এই শৃঙ্খলা ও এই সামঞ্জস্য তোমারই স্বষ্টি, তোমা কর্তৃকই তোমার খেয়ালের উপরে আরোপিত। তোমার খেয়ালগুলাকে তুমি ঐরূপে সাজাইয়াছ, সেই জন্ত তাহার। ঐরূপে সজ্জিত দেখাইতেছে। দুইটা খেয়ালকে তুমি ঠিক একই রূপে দেখ না, একটু না একটু বিভিন্নভাবে দেখ ; আবার দুইটা খেয়ালকে সম্পূর্ণ বিভিন্নভাবে দেখ না, কোন না কোন বিষয়ে সদৃশ দেখ ; এই বিশেষ ও এই সমানত দেখিয়া, বিবিধ বিশেষ ও বিবিধ সামান্ত অনুসারে সাজাইয়া ও গোছাইয়া তুমি তোমার এই বিচিত্র জগতের নিৰ্ম্মাণ করিয়াছ ; অপরে ইহা নিৰ্ম্মাণ করিতে আসে নাই । ইহার স্বষ্টিকৰ্ত্ত তুমি স্বয়ং ; অথবা ইহ লইয়াই তুমি ; ইহাই তুমি ; তৎ ত্বম অসি । কেন তোমার এমন খেয়াল, তাহা জানি না, তবে এই পর্য্যন্ত জানি, এই খেয়াগের সমষ্টি তুমি । তোমার খেয়ালে খেয়ালে সামান্ত, আবার থেয়ালে খেয়ালে বিশেষ তুমি কেন "দেখ, তাহ জানি না। এই পর্যন্ত বলিতে পারি যে এই সাদৃশু ও এই ভেদ আছে বলিয়াই তুমি আছ। তোমার সকল কল্পনা সমান হইলে, অথবা তোমার সকল কল্পনা বিসদৃশ হইলে, তোমার ব্যক্তিত্ব কোথায় থাকিত, বুঝিতে পারি না । তুমি আছ, ইহা যদি ঠিক হয়, তবে তোমার কল্পিত জগতও ঠিক্ এইরূপই হইবে । ● জগৎ কোথায় ? তোমা ছাড়িয়া জগৎ নাই । জগৎ তোমারই অংশ,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১২৬
অবয়ব