পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জিজ্ঞাসা প্রকৃতির নিয়ম এইখানে ভাঙ্গিয়াছে ; কিন্তু জ্ঞানের সীমা প্রসারিত হইলে দেখা যাইবে, প্রকৃতির নিয়মের ব্যতিক্রম হয় নাই । নিয়ম এই ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়াছে কি না, ঐ ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়াছে কি না, তাহা লইয়া তর্ক করিতে ইচ্ছা হয় কর ; কিন্তু তাহার মীমাংসায় উপনীত হইবার ক্ষমতা এখন আমাদের নাই । বৈজ্ঞানিকেরা এই পর্যাস্ত বলেন,—কালে প্রতিপন্ন হইবে, প্রকৃতির নিয়ম ভাঙ্গে না । অতিপ্রাকৃত কিছুই নাই, মিরাকােলর স্থান নাই ! প্রকৃতিতে খেয়াল নাই, নিয়ম আছে। প্রকৃতির চপলত নাই ;–ইহা একটা সত্য | ফলে প্রকৃতির নিয়মাচুবৰ্ত্তিতা—নেচারে ইউনিফরমিটি—একটা সত্য । এবং অতিপ্রাকৃতের পক্ষ হইতে ইহার প্রতি সচরাচর যে আক্রমণ হয়, তাহাতে এই সত্যের ভিত্তিমূল নড়াইতে পারে না। অভিনব অদ্ভূত ঘটনা, যাহাতে মানুষে বিশ্বাস করিতে চায় না, যাহা পূৰ্ব্বে কখন ঘটিতে দেখা যায় নাই, তাহা অলীক ও অমূলক ন হইতে পারে, কিন্তু তাহ যে প্রাকৃত নিয়মের অতিচারী, তাহার প্রমাণ হয় না । কোন নিয়মের অনুযায়ী, তাহ শীঘ্ৰ বাহির হইতে না পারে ; কিন্তু কালে বহির হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে । ভূয়োদর্শন এইরূপ বলে । বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রতি পত্রে এরূপ উদাহরণ পাওয়া যাইবে । সুতরাং প্রকৃতির নিয়মানুবৰ্ত্তিতা,একটা সত্য । কিন্তু কে সতা ? প্রকৃতিতে নিয়ম আছে, খেয়াল নাই। কে বলিল ভূয়োদর্শন বলিয়াছে। নিয়মের লঙ্ঘন এ পর্য্যন্ত দেখা যায় নাই। স্বৰ্য্য একই নিয়মে ঘুরিতেছে ; নদী একই নিয়মে চলিতেছে ; বায়ু একই নিয়মে বহিতেছে। আবার, প্রাচীন জ্যোতিদিদের পরিচিত মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি যে নিয়মে এতকাল চলিতেছিল, সেই নিয়মের হিসাবেই হালীর ধূমকেতু । ঘুরিয়া আসিয়ছিল ও নেপচুনের অস্তিত্ব বাহির হইয়াছিল। ভূয়োদর্শন বলিতেছে, আজ যে নিয়মে জাগতিক কাৰ্য্য চলিতেছে,