পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? ১২৩ আমাদের মধ্যে প্রবেশলাভ করে । ইন্দ্রিয়ের দ্বার রোধ করিয়া দিলে ঐ জগতের কোন সংবাদ পাওয়া যায় না । নিজের শরীরটাও ঠিক এই অর্থে ইন্দ্রিয়গোচর পদার্গ, সুতরাং জড়জগতের অন্তবর্ণী। কিন্তু চন্দ্রস্বর্য্যকে ও জলবায়ুকে যেমন ইন্দ্রিয়গোচর পদার্থ বলা যায়, রাগদ্বেষ, হর্ষবিষাদ প্রভৃতি পদার্থকে তেমন ইন্দ্রিয়গোচর বলা যায় নী । 'চন্দ্রস্বর্ঘ্য ও জলবায়ু রূপরসাদিযুক্ত ; আর আমার রাগদ্বেষ হর্ষবিন্যদাদি রূপরসাদি-বৰ্জ্জিত ; সুতরাং তাহারা জড়জগতের অস্তভূত নহে। 哆 এইখানেই একটা খটকা আসিয়া উপস্থিত হয়। এমন পদার্থ কি থাকিতে পারে না, যাহ রূপরসাদিবাজ্জত, অথচ জড়পদার্থের মধ্যে গণ্য ? আজকালকার পণ্ডিতেরা আকাশ বা ঈথর নামে একটা জড়পদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করেন, তাহা অামাদের ইন্দ্রিয়গোচর নহে, তাহী রূপ-রস গন্ধাদি পরিন ; তবে কি সেই আকাশকৈ জড়পদার্থ না বলিয়া চিৎপদার্থের মধ্যে ফেলিব, না তাহার জন্ত না-জড় না-চিৎ একট। মাঝামাঝি তৃতীয় জগতের প্রতিষ্ঠা করিব ? ইহার উত্তর এই । এষ্ট ঈথর বা আকাশ আমাদের প্রত্যক্ষ নহে ; কিন্তু ইহাতে বিবিধ গতি উৎপন্ন হয়, তাহ আমাদের প্রত্যক্ষ । যেমন স্থির বায়ু সহজে আমাদের স্পর্শগোচর হয় না, কিন্তু চলন্ত বায়ু আমাদের স্পৰ্শবোধ জন্মায় ; সেইরূপ স্থির অfকাশষ্ট আমাদের অনুভবগম্য নহে, কিন্তু আকাশে যে নানাবিধ গতি উৎপন্ন হইতেছে, তাহার অনেকেই আমাদের অনুভবগম্য । আকাশে যে সব ছোট ছোট ঢেউ উঠে, তাহা । আমাদের দৃষ্টিজ্ঞানের একমাত্র অবলম্বন ; সেই ঢেউগুলি আমরা দেখি না, কিন্তু ঢেউগুলির ধাক্কা চোখে না পড়িলেও আমরা অন্ত জিনিষ দেখিতে পাই না । প্রকৃতপক্ষে ঢেউগুলির ধাক্কা অনুভবের নামই দৃষ্টি ; তবে সেই ধাক্কাগুলির সাহায্যে আমরা দূরস্থ অন্ত পদার্থের