পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্য । (: হাজার বৎসর পূৰ্ব্বেও ঠিক সেই নিয়মে চলিয়াছিল। আবার হাজার বaণর পরে কেমন চলিবে, তাহাও অলমরা গণিয়া বলিতে পারি গণনা ও ঘটনা উভয়ে মিল ভিন্ন অমিল কখনও দেখা যায় নাই । কিন্তু একটা কথা আছে ; ভূয়োদর্শন, ভূয়োদর্শনমাত্র । ভূয়ঃ শব্দের অর্থে ভূয়: ; চির নহে। ভূয়োদর্শন বহুকাল ব্যাপিয়া দর্শন ও বহুদেশ ব্যাপিয়া দর্শন ; কিন্তু চিরকাল ব্যাপিয়া দর্শন বা সৰ্ব্বদেশ ব্যাপিয়া দর্শন নহে। এবং চিরের সহিত তুলনায়, সর্বের সহিত তুলনায়, ভূয়ঃ ও বহু নগণ্যমাত্র! উভয়ের তুলনা হয় না। মাধ্যাকর্ষণের বর্তমান নিয়ম, কালি ছিল, পরশু ছিল, শত বৎসর বা লক্ষ বৎসর আগেও ছিল, মানিলাম। কিন্তু চিরকাল ছিল, তাহার প্রমাণ কোথায় ? আবার মাধ্যাকর্ষণের যে নিয়ম লোষ্ট্রখণ্ডে আছে, তাহাই চন্দ্রে আছে, পৃথিবীতে আছে, শনৈশ্চরের মেখলাতে আছে ও বরুণ গ্রহের পাশ্বচরে আছে, লুব্ধক তারকা ও তাহার সহচরে আছে ; কিন্তু সৰ্ব্বত্র আছে কে বলিল ? ভূয়োদর্শনের দৃষ্টি ততদুর বিস্তৃত নহে ; সুতরাং এ প্রশ্নের উত্তর নাই। মাধ্যাকর্ষণের নিয়মের যে সাৰ্ব্বভৌমিকত্ত্বরূপ বিশেষণ দেওয়া যায়, তাহ অনেকটা গায়ের জোর মাত্র । স্বর্য আজ যেমন উঠিয়াছে, কাল তেমনই উঠিয়াছিল, পরশু তেমনি উঠিয়াছিল, আমার জীবনের ত্রিশ রৎসর ধরিয়া তেমনি ভাবে উঠিতেছে, তোমার জীবনের আশী বৎসরেও সেই নিয়মে উঠিয়া আসিতেছে ; এবং মানব জীবনের গত অযুত বৎসর ও পৃথিবীর জীবনের গত লক্ষাধিক বৎসরও সেই এক নিয়মই প্রতিষ্ঠিত দেখিতেছি। তাই দেখিয়া সাহস করিয়া বলিয়া থাকি, কালও স্বৰ্য্য এই নিয়মে উঠিবে ; দশ বৎসর, শত বৎসর, কি সহস্র বৎসর পরেও সেই নিয়মে উঠিবে । ইহারই নাম গণনা । গণনাও'এ পর্য্যন্ত কখন ব্যর্থ হইতে দেখা যায় নাই । তাই গণনাতে আমাদের বিশ্বাস ও সাহস । এ পর্য্যন্ত যত মানুষ জন্মিয়াছে,