পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qb" জিজ্ঞাসা কেন, যে কোন বস্তু উদ্ধে উৎক্ষেপ কর না, তাহাই কিছুক্ষণ পরে ভূমিতে নামিয়া আসে। এই সাধারণ নিয়মের কোন ব্যতিক্রম এপর্যন্ত দেখা যায় নাই। । অতএব ইহা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। পার্থিব দ্রব্যমাত্রই ভূকেন্দ্রাভিমুখে গমন করিতে চাহে । এই নিয়মের নাম ভেীম আকর্ষণ বা মাধ্যাকর্ষণ । প্রকৃতির রাজ্যে নিয়ম ভঙ্গ হয় না ; কাজেই যদি কেহ আসিয়া বলে, অমুকের গাছের নরিকেল আজ বৃত্তচু্যত হইবামাত্র ক্রমেই বেলুনের মত উপরে উঠুিত লাগিল, তাহ হলে তৎক্ষণাৎ সেই হতভাগ্য ব্যক্তির উপর বিবিধ নিন্দাবাদ বর্ষিত হইতে থাকিলে । কেহ বলিবে লোকটা মিথ্যাবাদী ; কেহ বলিবে পাগল ; কেহ বলিবে লোকট। গাজা খায় ; এবং মিনি সম্প্রতি রসায়ননামক শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়৷ বিজ্ঞ হইয়াছেন, তিনি বলিবেন, হইতেও পারে ; তবে ঐ নারিকেলটার ভিতরে জলের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ছিল । কেননা, তাহার ধ্রুব বিশ্বাস যে নারিকেল,—খাটি নারিকেল, যাহার ভিতরে জল আছে, হাইড্রোজেন নাই, এ হেন নারিকেল—কখনই প্রাকৃতিক নিয়ম ভঙ্গে অপরাধী তইতে পঞ্চারে না । খাটি নারিকেল নিয়মভঙ্গ করে না বটে, তবে হাইড্রোজেনপূর্ণ বোম্বাই নারিকেল নিয়ম ভঙ্গ করিতে পারে ; আম ভূমিতে পড়ে, কিন্তু মেঘ বায়ুতে ভাসে ; প্যারাশুটবিলম্বিত আরোহী নীচে নামে বটে, কিন্তু ে বলুন উপরে উঠে। তবে এইখানে বুঝি নিয়ম ভঙ্গ হইল। পূৰ্ব্বে এক নিশ্বাসে নিয়ম করিয়া ফেলিয়াছিলাম, পার্থিব বস্তুমত্রেই নিম্নগামী হয় ; কিন্তু এখন দেখিতেছি, নিয়মের ব্যভিচার আছে ; যথা মেঘ, বেলুন ও হাইড্রোজেন পোর বোম্বাই নারিকেল। লোহা জলে ডুবে, কিন্তু শোল জলে ভাসে। কাজেই প্রকৃতির নিয়মে এই ব্যভিচার ।