পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> と じ জিজ্ঞাসা আছে, ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ততটা ছেলিয়া ছিল না । কি পাপ । উহাই ত নিয়ম ? চুম্বকের কাটা চিরকালই এক মুখে থাকিবে, এমন কি কথা আছে ? উস্থা একটু একটু করিয়া প্রতি বৎসর সরিয়া যায় ; আজ দুই শত বৎসর ধরিয়া বরাবরই দেখিতেছি, ঐরূপ সরিয়া যাইতেছে ; উহাই ত নিয়ম । কাটা আবার থাকিয়া থাকিয় নাচে, কঁপে, স্পন্দিত হয় । ঠিকই ত । সময়ে সময়ে নাচাই ত উহার স্বভাব। প্রতি এগার বৎসরে একবার উহার এইরূপ নৰ্ত্তনপ্রবৃতি বাড়িয়া উঠে । আবার স্বৰ্য্যবিম্বে যখন কলঙ্কসংখ্যার বৃদ্ধি হয়, যখন মেরুপদেশে উষার দীপ্তি প্রকাশ পায়, তথন ও এই নৰ্ত্তনপ্রবৃত্তি বাড়ে । ইহাই ত নিয়ম | প্রকৃতিতে একটা নিয়ম আছে, আলোকের রশ্মি সোজা পথে বা ঋজু পথে যায় ৷ যতক্ষণ একই পদার্থের মধ্য দিয়া চলে, ততক্ষণ বরাবর একই মুখে চলে । জানাল দিয়া রৌদ্র অসিলে সম্মুখের দেওয়ালে আলো পড়ে। ছিদ্রের ভিতর দিয়া চাহিলে সম্মুথের জিনিষ দেখা যায়, আশ পাশের জিনিষ দেখা যায় না । কাজেই আলোক ঋজু পথে চলে। নতুবা ছায় পড়িত না । চন্দ্রগ্রহণ স্বৰ্য্যগ্রহণ ঘটিত না । সুতরাং আলোকের সোজা রাস্তায় যাওয়াই নিয়ম। কিন্তু প্রকৃতই কি এই নিয়ম ? অতি সূক্ষ্ম ছিদ্রের ভিতর দিয়া আলো গেলে দেখা যায়, তালোক ঠিক সোজা পথে না গিয়া আশে পাশে কিছুদূর পর্য্যন্ত যা শব্দ যেমন জানালার পথে প্রবেশ করিয়া সম্মুখে চলে ও আশে পাশে চলে, সেইরূপ আলোকবশ্মি ও স্বক্ষছিদ্রমধ্যে প্রবেশ করিয়া সম্মুখে চলে ও আশে পাশে চলে। এখন বলিতে হইবে, ইহাই পাকৃতিক নিয়ম। আলোকের এইরূপ ক্ষেত্রে আশে পাশে যাওয়াই স্বভাব । বস্তুত: এস্থলেও প্রাকৃতিক নিয়মের কোন লঙ্ঘন হয় নাই | . শেষ পর্যন্ত গড়ায় এই বাহা দেখিব, তাই প্রাকৃতিক নিয়ম। সহ এ পর্যন্ত দেখি নাই, তাহ নিয়ম নহে বলিয়া নিশ্চিন্তু থাকিতে