পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়মের রাজত্ব ১৬৭ পারি ; কিন্তু যে কোন সময়ে একটা নুতন অজ্ঞাতপুৰ্ব্ব ঘটনা ঘটিয়া আমার নিৰ্দ্ধারিত প্রাকৃতিক নিয়মকে অবলীলাক্রমে বিপর্য্যস্ত করিয়া দিতে পারে । কাজেই এটা প্রাকৃতিক নিয়ম, ওটা নিয়ম নহে, ইহা পুরা সাহসে বলাই দায় । অথবা যাহা দেখিব, তাহাই যখন নিয়ম, তখন নিয়মলঙ্ঘনের সম্ভাবনা কোথায় ? চিরকাল স্বৰ্য্য পূৰ্ব্বে উঠে, দেখিয়া আসিতেছি ; উহাই প্রাকৃতিক নিয়ম মনে করিয়া বসিয়া অাছি ; কেছ পশ্চিমে স্বর্য্যোদয় বর্ণনা করিলে তাহার মানসিক অবস্থার জন্ত শোক করি । কিন্তু কাল প্রাতে যদি দুনিয়ার লোকে দেখিতে স্বৰ্য্যদের পশ্চিমেই উঠিলেন আর পূর্ণ মুখে হঁটিতে লাগিলেন, তখন সে দিন হইতে টঙ্গাকেই প্রাকৃতিক নিয়ম বলিয়। গণ্য করিতে হইবে । অবশ্য এরূপ ঘটনার সম্ভাবনা অত্যন্ত অল্প ; কিন্তু যদি ঘটে, পৃথিবীর সমস্ত বৈজ্ঞানিক এক যোট হইয়া তাঙ্গার প্রতিবিধান করিতে পারিবেন কি ? প্রাকৃতিক রাজ্যে নিয়মটা কিরূপ তাছা কতক বোঝা গেল । তুমি সোজা চলিতেছ, ভাল, উহাই নিয়ম ; বঁাকা চলিতেছ, বেশ কথা, উহাই নিয়ম । তুমি হাসিতেছ, ঠিক নিয়মানুযায়ী ; কঁদিতেছ, তাহাতেও নিয়মের ব্যতিক্রম নাই ! যাহা ঘটে, তাহাই যখন নিয়ম, তখন নিয়মের ব্যভিচারের আর অবকাশ থাকিল কোথায় ? কোন নিয়ম সোজা ; কোন নিয়ম বা খুব জটিল ; কোনটাতে বা ব্যভিচার দেখি না ; কোনটাতে বা ব্যভিচার দেখি ; কিন্তু বলি ঐ গানে ঐ ব্যভিচার থাকাই নিয়ম । কাজেই নিয়মের রাজ্য ছাড়িয়া যাইবার উপায় নাই । ফলে জাগতিক ঘটনাপরম্পরার মধ্যে কতকগুলা সম্বন্ধ দেখিতে পাওয়া যায়। ঘটনাগুলা একেবারে অসম্বন্ধ বা শৃঙ্খলাশূন্ত নহে। মানুষ যত দেখে, যত স্বল্প ভাবে দেখ, যত বিচার করিয়া দেখে, ততই বিবিধ সম্বন্ধের আবিষ্কার করিয়া থাকে । বহুকাল হইতে মামুষে দেখিয়া জালি- '