অমঙ্গলের স্বষ্টি ›ጫ » অমঙ্গল আদৌ অস্তিত্বহীন, তাহা হইলে সমুদয় পরিশ্রম পণ্ড হইবার সম্ভাবনা | «so, পৃথিবীতে যদি জীবের নিবাস না থাকিত বা জীবের অভু্যদয় না ঘটিত, তাঙ্গ হইলে ধরাপৃষ্ঠ কম্পিত কেন, সমগ্র ভূমণ্ডল চুর্ণ হইয়া আকাশে বিক্ষিপ্ত হইয়া গেলেও কাহারও কোনও মাথাব্যথা ঘটিত না এবং ব্যাপারটা মঙ্গল কি অমঙ্গল তাহা ভাবিবার কোন আবশুকতাও উপস্থিত হইত না । জগতে জীবের অস্তিত্ব না থাকিলে এবং জীবের আবার সুখদুঃখ বুঝিবার শক্তি না থাকিলে, অমঙ্গলু শব্ধের অর্থ লইয়া বিচার করিবার অবকাশয় উপস্থিত হইত না । অচেতন পাণহীন জড় জগতে মঙ্গল ও নাই, অমঙ্গল ০ নাই । এক সম্প্রদায় পণ্ডিত আছেন, তাঙ্গর জীব মধ্যে কেবল মনুষ্যের ইষ্টানিষ্ট ষ্টি সাব করিয়া মঙ্গল ও অমঙ্গলের নির্ণয় করিয়া থাকেন । সাঙ্গতে মনুষোর ইষ্ট আছে, তাহাই মঙ্গল ; যাঙ্গতে মনুষোর অনিষ্ট, তাঙ্গই অমঙ্গল । ইহাদের ভাবট এই ;–এই প্রকা ও জগৎটা তাহার বৈচিত্র লইয়া কেবল মনুয্যের ভোগের জন্তুষ্ট বৰ্ত্তমান রহিয়াছে ; মনুষ্য জগৎকে উপভোগ করিতেছে বলিয়াই জগতের এত মৰ্য্যাদা ৭ মাহাত্মা মনুষ্যের ভোগের উপযুক্ত না হইলে কোনও পদার্থ স্বাক্ট হইবার বা বর্তমান থাকিবার কোনও প্রয়োজন থাকিত না ; স্বষ্টিকর্তা মানুষের ভোগের জন্তই এতটা পরিশ্রম করিয়াছেন ; তাহার স্বল্প পদার্থসমূহের মধ্যে যেটা মানুষের উপভোগে যত সাহায্য করে, সেটার অস্তিত্ব ততদুর সার্থক এবং স্বষ্টিকৰ্ত্তার স্বষ্টি, ততদুর সফল, এবং তাহার নৈপুণ্য ও বিবেচনাশক্তি ততদূর প্রশংসনীয় । স্বষ্টিকর্তা ধন্ত, কেন না, তাহার নিৰ্ম্মিত জগৎ আমাদের চক্ষে এমন সুন্দর লাগে অামাদিগকে এমন প্রীতি দান করে। তিনি ধন্ত, কেন না, এত বিচিত্র দ্রব্যের সমাবেশ করিয়া এত বিবিধ উপায়ে আমাদের জীবনরক্ষার o
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮২
অবয়ব