পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సాe জিজ্ঞাসা ঘটিয়াছিল, তখন উহা নিয়মসঙ্গত । তুমি যদি বল, উগ নিয়মবিরুদ্ধ, তাহা হইলে যাহা বিচারের বিষয়, যাহা বিরোধস্থল, যাছাকে অসম্ভব প্রমাণ করিতে হইবে, তাহাকে আগেই অসম্ভব ধরিয়া লইতেছ। এ কিরূপ যুক্তি ? স্তায়শাস্ত্রে এরূপ যুক্তি টিকে না । তুমি হয়ত বলিবে, চিরকাল ধরিয়া মামুযে যখন সূৰ্য্যকে গতিশীল দেখিয়া আসিতেছে, তখন স্বর্য্যের অবিরাম গমনই নিয়ম ; এত সহস্ৰ বৎসর মধ্যে কেবল একবার মাত্র গতির রোধ নিয়মবিরুদ্ধ । বিখ্যাত ব্যালেজ সাহেব ইতার উত্তর দিয়াছিলেন । তিনি নানাবিধ আঁক-কষ যন্ত্রের উদ্ভাবন করেন । নির্দিষ্ট নিয়মবলে সেই যন্ত্র আঁক কষিয়া উত্তর বাহির করিয়া দিতে পারে। একটি যন্ত্র এইরূপ । এক, দুই, তিন, এইরূপে আরম্ভ করিয়া পর পর সংখ্যা যন্ত্র হইতে বাহির হইতেছে । এগার হাজার সাত শ বাইশ পর্য্যন্ত বাহির হইয়। ছে । তুমি এগার হাজার সাত শ তেইশের অপেক্ষায় বসিয়া আছ, এমন সময়ে অকস্মাৎ বাহির হইল তেত্রিশ হাজার পাচ । তার পর আবার নিয়ম মত যন্ত্র চলিতে লাগিল । এই ঘটনাটা ঘন্ত্রের মিরাকল বটে, তবে মিয়মের বাঙ্গভূত নহে । যন্ত্র এরূপ কৌশলে নিৰ্ম্মিত, যে, ঐ সময়ে এই সংখ্যা বাহির না হইয়া ঐ সংখ্যাই বাহির হইবে । তবে যন্ত্রটির নিৰ্ম্মাতা অপর লোককে বেশ ঠকাঠতে পারেন । যে জানে না, সে যন্ত্র বিকল হইয়াছে, মনে করিতে পারে । এইরূপ জগদ্যন্ত্র সম্বন্ধেও বলা যাইতে পারে। স্বৰ্য্য দিনের পর দিন যথানিয়মে উঠিতেছেন ও আকাশপথে ভ্রমণ করিতেছেন। এক দিন অকস্মাৎ যদি থামিয়া যান, তাহ হইলে জগদ্যন্ত্র বিকল হইয়াছে মনে করিবার কারণ নাই । যিনি যন্ত্রের নিৰ্ম্মাতা, তিনি এইরূপ ব্যবস্থাই করিয়া রাখিয়াছেন । স্বৰ্য্য চলিতে চলিতে সহসা এক একবার থামিবেন, যন্ত্রের বন্দোবস্ত এইরূপই আছে ।