পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের অস্তিত্ব >N○ অন্ত প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না । অপর যাবতীয় সিদ্ধান্তের প্রমাণ এই নতঃসিদ্ধের উপর নির্ভর করে। পাঠকের দুর্ভাগ্যক্রমে আমার অস্তিত্বসম্বন্ধে আমার বড় সংশয় নাই ; নতুবা এই খানেই লেখনীকে বিরাম দিয়া তাহাকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য হইতাম । তার পর বাহিরের, অর্থাৎ আমা-ছাড়া জগতের কথা । এইখানেই যত গণ্ডগোল । আপাততঃ বাহা জগতের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া লইলাম। বাহিরের সহিত আমার সংস্পর্শে আমার জীবন। পরস্পরের ঘাতপ্রতিঘাতের কথা লইয়া জীবনের কাহিনী । যেখানে পরস্পর প্রতিঘাতের শেষ, সেইখানে জীবলীলার অবসান । বহির্জগতের খানিকটা আমার প্রত্যক্ষ বিষয়, ক্রিয়গোচর। খানিকটা অনুমানগোচর। তোমার ভৌতিক শরীর আমার প্রত্যক্ষ বিষয়, তোমার চৈতন্ত তামার অনুমানগোচর। প্রত্যক্ষ ভাগের সহিতই আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সংস্পর্শ । সেই সংস্পর্শ হইতে তোমার অনুমানগোচর ভাগটার ও সমগ্ৰ তুমিটার অস্তিত্ব আমি টানিয়া লই । কিন্তু সংস্পর্শ বলিলে ভুল হয় । উভয়ের মাঝে এত ব্যবধান যে, স্পর্শ বলিলে অভিধানের প্রতি বিশেষ অবিচার হয় । আমি তামাকে কখন ছুই না ; তোমার সাধ্য নাই যে আমাকে স্পর্শ করিতে পার ; কতকগুলা সঙ্কেত লইয়া আমি কারবার করি । সঙ্কেতগুলা রূপরস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শময় । সঙ্কেতগুলা কোনরূপে তোমার নিকট হইতে আসিয়া আমার নিকট পৌছে । কিন্তু সেই সঙ্কেতের সহিত তোমার কোন সাদৃশু নাই । টেলিগ্রাফুের কেরাণী কাটার আক্ষেপ দেখিয়া স্থির করেন, বিলাতে পালেমেণ্ট বসিয়াছে । শাদা কাগজে কালির অঁচির দেখিয়া আমরা নিউটনের চিন্তাপরম্পরা বুঝিয়া লই । কিন্তু কাটার ; আন্দোলনের সহিত পালেমেণ্টের, অথবা ছাপা হরপের সহিত নিউটনের চিন্তাপ্রণালীর যে সাদৃশু, তোমার সহিত তোমার রূপরসগন্ধাদির সাদৃশু