পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১• জিজ্ঞাসা মানবপদবীতে স্থাপিত করিয়াছে। বেশ কথা, কিন্তু সৌন্দৰ্য বুদ্ধ মানব ধৰ্ম্ম । মানব ধৰ্ম্ম এই হিসাবে, যে মানবুেতর প্রাণী এই সোধবুদ্ধিতে হয়ত একেবারে বঞ্চিত। ইতর জীবের সৌন্দৰ্য্যবোধ আছে কিনা, বলা কঠিন। ইংরাজীতে যাহাকে ফাইন আর্ট বলে, বাঙ্গালাতে যাহাকে সুকুমার কলা বলা পদ্ধতি দাড়াইয়াছে, সেই ফাইন আর্টের যে সৌন্দৰ্য্য লইয়। কারবার, আমি সেই সৌন্দর্য্যের কথা বলিতেছি । ইংরাজীতে যাহাকে ইসথেটিক বৃত্তি বলে, বঙ্কিমবাবু, যাহার চিত্তরঞ্জনী বৃত্তি নাম দিয়াছেন, তাহারই সহিত এই সৌন্দর্যে" কারবার। ইতর জীবের মধ্যেও এক রকম সৌন্দৰ্য-প্রিয়তা "ছ, কিন্তু তাহ সাধারণ জীবধৰ্ম্ম ; তাহাকে বিশিষ্ট মানবধৰ্ম্মের সংস্ক এক পৰ্য্যায়ে ফেলা চলে না । যেমন বিহগ গান গাহিয়া বিহগী মন ভুলায় ; কপোত মণিতামুকারী ধ্বনির দ্বারা কপোতার মন ভুলায় ; এ কলাপশোভা বিস্তার করিয়া কেকারবসহকারে নাচিয়া ময়ুরীর ভুলায় । এই শ্রেণীর সৌন্দর্য্যপ্রিয়তা সাধারণ জীবধৰ্ম্মের অন্তর্গত । ডারুচন দেখাইয়াছেন যে, যৌন নিৰ্ব্বাচনে ঐ সৌন্দর্য্যের উৎপত্তি ময়ুরীর সেই সৌন্দর্য্যের প্রতি অনুরাগ আছে বলিয়াই ময়ুর সুন্দ আছে। মনুষ্যের মধ্যেও এইরূপ সৌন্দর্য্যের ও এইরূপ সৌন প্রয়তার অসদ্ভাব নাই। নারীদেহের অতুলনীয় সৌন্দৰ্য্য এই । নিৰ্ব্বাচন হইতেই উৎপন্ন। চম্পক অঙ্গুলির প্রতি ৪ খঞ্জন নয়নের প্রতি পুরুষের অকস্মাৎ অনুরাগ থাকায় নারীজাতি চম্পক অঙ্গুলির ও খঞ্জন নয়নের অধিকারিণী হইয়াছে । ইহা বুঝা যায় ; কিন্তু জব: শেফালিক ছাড়িয়া কেন চম্পক অঙ্গুলির প্রতি এবং পেচা হাড়গিল৷ ছাড়িয়া কেন খঞ্জন নয়নের প্রতি অকস্মাৎ পুরুষের আকর্ষণ হইল, ইহা বুঝা যায় না। ইহার অর্থ ও কারণ পাওয়া যায় না । মনুষ্য যেখানে সেখানে অকারণে সৌন্দৰ্য্য দেখিতে পায় । তুমি আমি