পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ জিজ্ঞাসা ইহার উৎপত্তি হইতে পারে না। কিন্তু এই সৌন্দৰ্য্যবোধ যখন মানবন্ধের একটা প্রধান লক্ষণ, হয়ত অনেকের মতে মানবত্বের সৰ্ব্বপ্রধান লক্ষণ, সৌন্দৰ্য্যবৃদ্ধিবর্জিত মনুষ্যকে যখন পূর্ণ মানবত্ব দিতে পারা যায় না, তখন পুর্ণ মানবত্বই যে প্রাকৃতিক অভিব্যক্তির ফল, একথা স্বীকারে তিনি সঙ্কুচিত হইয়াছেন। মানবত্বের পূর্ণ অভিব্যক্তির জন্ত অন্ত কোন কারণ অনুসন্ধান করিতে হইবে। প্রাকৃতিক শক্তি ব্যতীত কোন অতিপ্রাকৃত শক্তি হয়ত মানবত্ত্বের অভিব্যক্তির মূলে বিদ্যমান রহিয়াছে, মানবোৎপত্তি সম্বন্ধে ওয়ালাশের চরম সিদ্ধাস্ত কতকটা এইরূপ । ওয়ালাশের এই চরম সিদ্ধান্ত অন্তান্ত পণ্ডিতে গ্রহণ করিতে রাজি হয়েন নাই । কিন্তু সৌন্দৰ্য্যবুদ্ধির যখন জীবনসংগ্রামে কোন কাৰ্য্যকারিতাই নাই, তখন প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন এই সৌন্দর্য্যবুদ্ধি জন্মাইতে পারে, এই কথা স্পষ্টতঃ বলিতে কাহারও সাহসে কুলায় নাই। প্রাকৃতিক নির্বাচন ব্যতীত অন্ত কোন কারণে এই সৌন্দৰ্য্যবুদ্ধির উৎপত্তি ঘটিয়াছে, ইহাই দৰ্শাইবার জন্ত বিবিধ চেষ্টা হইয়াছে । ধলা বাহুল্য, এই সকল চেষ্টা বিশেষ সন্তোষজনক হয় নাই । জীবতাত্ত্বিক পণ্ডিতেরা কেহ কেহ বলেন, এই সৌন্দর্য্যপ্রিয়তা একটা bye-product of evolution—sto অভিব্যক্তির একটা মাকস্মিক আগন্তুক ফলমাত্র পাখীর সৌন্দৰ্য্য পাখীর ব্যক্তিগত জীবন রক্ষায় বিশেষ কোন কাজে লাগে না, ইহা স্বীকার্য্য। তাহার জাতিগত জীবনরক্ষায় অর্থাৎ বংশরক্ষায় যে বিশেষ কাজে লাগে, তাহারও প্রমাণাভাব ; সুতরাং এই সৌন্দর্ঘ্যে পাখীর কোন লাভ নাই, তাহার বংশেরও কোন লাভ নাই। ময়ূরীর খাতিরে ময়ূরকে কলাপের দুৰ্ব্বহ বোঝা বহিতে হয় । কিন্তু ময়ুীর এই বোঝার প্রতি আকস্মিক অনুরাগ জীবনদ্বন্দ্বে ময়ুৰ্ববংশের রক্ষাবিষয়ে আমুকুল্য